ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ক্যাম্পাস
ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়।
সেনানিবাসের কাছে কুর্মিটোলায় গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়টির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে ক্যাম্পাসজুড়ে।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, ছাত্রলীগ, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পাশাপাশি সোচ্চার হয়ে উঠেছে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও। টিএসসি এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিচ্ছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তবে খবর পেয়ে মূলত রাতেই মিছিল ও সমাবেশ শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সকাল থেকে নানা সংগঠন ছাড়ও আক্রান্ত শিক্ষার্থীর সহপাঠী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করছেন। বেলা এগারটার দিকে ছাত্রলীগ সমবেত হতে শুরু করে সংগঠনটির কয়েক হাজার নেতাকর্মী। শাহবাগ থেকে টিএসসি হয়ে ক্যাম্পাস এলাকা জুড়ে তারা মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করছে।
শাহবাগ থেকে টিএসসি পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রলীগ। বিভিন্ন হল থেকে মিছিল আসছে। ছাত্রলীগ ছাড়া অনেক সাধারন শিক্ষার্থীকেও টিএসসি এলাকায় প্রতিবাদের অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে।
ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানিয়ে তাতে পূর্ণ সহায়তার কথা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রাতেই হাসপাতালে গিয়ে আক্রান্ত শিক্ষার্থীকে দেখে এসেছেন উপাচার্য ড: ম আখতারুজ্জামান এবং ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করার কথা জানিয়েছে।
সিফাতুল ইসলাম নামের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী অনশনে বসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মানববন্ধন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার সন্ধ্যে সাতটার সময় ওই ছাত্রীকে ব্যস্ত রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতিত ছাত্রীটি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
নির্যাতিত ওই ছাত্রী বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। উদ্দেশ্য একসাথে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলা এলাকায় বাস থেকে নামেন।
সেখান থেকেই অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় সেখানেই জ্ঞান হারান ছাত্রীটি। নির্যাতনের এক পর্যায়ে জ্ঞান ফিরে পান তিনি এবং আবার জ্ঞান হারান।
রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে তার এবং তিনি তার বান্ধবীর সাথে যোগাযোগ করে হাসপাতালে পৌঁছান।