ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত মজনু র্যাব মিডিয়া সেন্টারে
বুধবার সকালে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন-কাশেম বলেন, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির ছবি ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে দেখানো হয়েছে। তিনি তাকে ধর্ষক বলে শনাক্ত করেছেন।
রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবককে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুর ১টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় তাকে সেখানে নেওয়া হয়।
এদিকে র্যাবের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে গাজীপুর থেকে মজনু নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন এবং একটি চার্জার পাওয়া গেছে। ভোরে তাকে ধর্ষণকারী হিসেবে শনাক্ত করেছেন ভিক্টিম। তার নাম মজনু, বাড়ি নোয়াখালী। সে পেশায় ফুটপাথের হকার। ওই এলাকায় হকারি করার পর রাতে আশপাশেই থাকে। ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে সে জড়িত।
বুধবার বেলা দেড়টায় কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে ব্রিফিং করা হবে।
রোববার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে বাসে ওঠেন ঢাবি শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করা হয়। সহপাঠীদের খবর দিলে তারা সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে রোববার রাত ১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ধর্ষণকারীর উচ্চতা পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি। গায়ের রং শ্যামলা। মাথার চুল ছোট। পরনে ছিল জিনসের পুরোনো ফুলপ্যান্ট। গায়ে ছিল কালো রঙের ফুলহাতা জ্যাকেট। তার পায়ে স্যান্ডেল ছিল। ঢাবির ওই শিক্ষার্থীর ব্যাগ, দুই হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় সে।