Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
December 22, 2024
হেডলাইন
Homeযুক্তরাষ্ট্রতাইওয়ান নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে যে বার্তা দিল চীন

তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে যে বার্তা দিল চীন

তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে যে বার্তা দিল চীন

আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন চীন সফর করছেন গতকাল রবিবার থেকে। আশা করা হচ্ছে যে, এ সফর বিশ্বের এই দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে বরফ গলাতে সহায়তা করবে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চীন সফরে যাওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের। কিন্তু সেসময় যুক্তরাষ্ট্র চীনের সন্দেহভাজন একটি গুপ্তচর বেলুন ভূপাতিত করার পর সেটি পিছিয়ে দেয়া হয়।

গত পাঁচ বছরে এটাই কোন মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিকের প্রথম চীন সফর। এরই মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইয়ের সাথে বৈঠক শেষ করেছেন।

অন্যান্য আরো নানা ইস্যু থাকলেও সম্প্রতি মার্কিন-চীন সম্পর্ক খারাপ হয়েছে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্বন্দ্ব, মানবাধিকার এবং তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে উত্তেজনার কারণে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইয়ের সাথে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বৈঠক নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক ঘণ্টা বেশি স্থায়ী হয়।

চীনের শীর্ষ কুটনীতিক ওয়াং ই বলেছেন, চীন-আমেরিকার বর্তমান সম্পর্কের পেছনে মূল কারণ হচ্ছে তার দেশ নিয়ে যুক্তারষ্ট্রের ‘ভূল ধারণা’।

বৈঠকের পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ওয়াং ই ব্লিঙ্কেনকে বলেছেন, “তাইওয়ান নিয়ে ‘সমঝোতার কোন সুযোগ নেই’।”

তিনি আরো দাবি করেছেন যে, আমেরিকা যাতে চীনের উপর থেকে একতরফা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

সেই সাথে আমেরিকা যাতে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ওপর ‘দমন চেষ্টা’ বন্ধ করে এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে, সে আহ্বান জানান ওয়াং ই।

তিনি বলেন, ‘সংলাপ বা দ্বন্দ্ব’ এবং ‘সহযোগিতা ও সংঘর্ষে’র মধ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোন একটি বেছে নেয়ার সুযোগ রয়েছে।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের অবাধ চ্যানেলের চালুর মাধ্যমে ‘দায়িত্বশীল প্রতিযোগিতা বজায়’ রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন, যাতে প্রতিযোগিতা দ্বন্দ্বে পরিণত না হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্লিঙ্কেন জোর দিয়ে বলেছেন যে, আমেরিকার স্বার্থ এবং মূল্যবোধের পক্ষে তিনি কূটনীতি চালিয়ে যাবেন।

এছাড়া যৌথ উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করেছেন তারা।

বৈঠককে ‘খোলামেলা ও ফলপ্রসূ’ ছিল উল্লেখ করে মিলার বলেন, দুই কূটনীতিকই দ্বিপক্ষীয় এবং বৈশ্বিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।

ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের মূলে রয়েছে তাইওয়ান ইস্যু। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং রবিবার বলেন, এই দ্বীপটি চীনের ‘মূল স্বার্থ সংশ্লিষ্ট’ এবং মার্কিন-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু’।

চীন গণতান্ত্রিক স্বায়ত্ব-শাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ মনে করে এবং এর নিয়ন্ত্রণ নিতে শক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেয় না।

আর এখন যেখানে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে সমর্থন দিচ্ছে, তখন চীন একে তাদের দীর্ঘদিনের ‘এক চীন নীতি’র বিরোধী হিসেবে দেখছে।

এই নীতিটি হচ্ছে চীনের অবস্থানকে কূটনীতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া যে, চীনের সরকার শুধুমাত্র একটি-আর সেটি বেইজিংয়ে অবস্থিত। এ নীতির আওতায়, চীন তাইওয়ান ইস্যুতে অন্য দেশ বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বা সম্পর্ক রাখা একেবারেই সমর্থন করে না।

সূত্র : বিবিসি।

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment