তাদের বহুবার ফাঁসি হওয়া উচিত: জান্তা মুখপাত্র
মিয়ানমারে চার গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও অধিকারকর্মীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া চারজনের বরং ‘বহুবার ফাঁসি হওয়া উচিত’ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
সোমবার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কথা ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে নিন্দা জানানো হয়। আগামী দিনে আরো মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখল করা জান্তার বিরুদ্ধে কঠোর আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা।
তবে মিয়ানমারের সামরিক সরকার আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দার বিরোধিতা করছে। রাজধানী নেপিডোতে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ‘আদালতের যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তারা অনেক নিরীহ মানুষের ক্ষতি করেছেন। ’
জান্তা মুখপাত্র আরো বলেন, ‘অন্যান্য মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে যদি সাজার তুলনা করি, তাহলে তারা এমন অপরাধ করেছে যার জন্য বহুবার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত ছিল। ’
ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক নেতা অং সান সু চির দলের সাবেক আইনপ্রণেতা ফিয়ো জেয়া থরসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
গত সোমবার ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে জান্তা সরকার। তাদের মধ্যে ফিয়ো জেয়া থরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে অপরাধের জন্য। জিমি নামে পরিচিত বিশিষ্ট গণতন্ত্রকর্মী কিয়াও মিন ইউ একই আইনে শাস্তি পেয়েছেন। বাকি দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় জান্তা সরকারের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করা এক নারীকে হত্যার অপরাধে।
১৯৮৮ সালের পর এটাই ছিল মিয়ানমারের প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনা।
এএফপি।