তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি ও ট্রাম্পের যুক্তি
আফগানিস্তানে দীর্ঘ ১৮ বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে শনিবার তালেবানের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
নিজেদের লোকজনকে সেখান থেকে ফেরাতেই এই চুক্তি সই বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
চুক্তির পর এক প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, এখন আমাদের লোকজনকে ঘরে ফেরানোর সময়।
ট্রাম্প আরও বলেন, আগামী মে মাস নাগাদ আফগানিস্তান ছাড়বে পাঁচ হাজার মার্কিন সেনা। অদূর ভবিষ্যতে তিনি তালেবান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করতে পারেন। তবে ওই বৈঠক কোথায় হবে সে বিষয়ে ট্রাম্প কিছু বলেন নি।
বিবিসি জানিয়েছে, তালেবানের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বহাল থাকলে আগামী ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা সরিয়ে আনবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ন্যাটো মিত্ররা।
চুক্তি অনুসারে এখন আফগান সরকার এবং তালেবানের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা।
এছাড়া চুক্তির শর্ত অনুযায়ী নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আল-কায়েদার কার্যক্রম চলতে দেবে না তালেবান।
যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর ২০০১ সালে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালিয়ে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনী।
ওই হামলার মূল সন্দেহভাজন ওসামা বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দেওয়ায় আফগানিস্তানে অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
তালেবান আফগানিস্তানে অথবা নিরপেক্ষ তৃতীয় কোনও দেশে ওসামা বিন লাদেনের বিচারের প্রস্তাব দিলেও যুক্তরাষ্ট্র তখন তা প্রত্যাখ্যান করে।
অবশ্য পরে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে এক অভিযান চালিয়ে বিন লাদেনকে হত্যা করে মার্কিন নেভি সিল বাহিনী।
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ৪০০ সেনা নিহত হয়। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ১২ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে।
পাশাপাশি ন্যাটো মিত্রদেরও কয়েক হাজার সেনা দেশটিতে অবস্থান করছে। ♦