‘তুমি তো লয়ের পুতুল!’
ভারতের পদ্মবিভূষণপ্রাপ্ত কিংবদন্তি শিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজ ৮৩ বছর বয়সে গত ১৬ জানুয়ারি নশ্বর পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। তিনি একাধারে ছিলেন নাচ, তবলা এবং কণ্ঠসংগীত শিল্পী। অসাধারণ ছবিও আঁকতেন তিনি। তাঁর পুরো নাম বৃজমোহন মিশ্র। ব্রিটিশ ভারতে তিনি বারাণসীতে ১৯৩৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। কত্থকের ‘মহারাজা’ বংশে তাঁর জন্ম। সাত পুরুষ ধরে তাঁরা কত্থক নাচের চর্চা করে আসছেন।
বিরজু মহারাজের দুই কাকা শম্ভু মহারাজ এবং লচ্ছু মহারাজও ছিলেন বিখ্যাত শিল্পী। বাবা অচ্চন মহারাজই ছিলেন বিরজুর গুরু। পণ্ডিত বিরজু মহারাজের জীবনটা যেমন শৈল্পিক, শেষযাত্রাটাও তেমনি শিল্পসুষমামণ্ডিত। মৃত্যুর একদিন পর তাঁর শেষকৃত্যের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। সেখানে দেখা যায়—একদিকে পণ্ডিতের শেষকৃত্য হচ্ছে অন্যদিকে তাঁর ছেলে জয়কিশান মহারাজ এবং দীপক মহারাজ; শাশ্বতী সেন ও অন্যান্য শিষ্য; পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং আত্মীয়রা কত্থকের বাণী হাতের তাল দিয়ে আবৃত্তি করছেন।
রবিশঙ্কর তাঁর নাচ দেখে বলেছিলেন, ‘তুমি তো লয়ের পুতুল!’ শাস্ত্রীয় সংগীতের একাধিক ধারার সঙ্গে যেমন যুক্ত ছিলেন, তেমনই বহু ছবিতে কোরিওগ্রাফারের কাজও করেছেন। সত্যজিৎ রায়ের হিন্দি ছবি ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’র দুটো গানের কোরিওগ্রাফি করেন তিনি। দেশ-বিদেশে বহু অনুষ্ঠান করেছেন। রয়েছে তাঁর প্রচুর ছাত্রছাত্রী।