তুরস্কে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৮৫.৫১ ভাগ
অক্টোবরে তুরস্কে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৮৫.৫১ ভাগ। ১৯৯৭ সালের পর এটাই সেখানে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি। বৃহস্পতিবার সরকারি ডাটায় এসব তথ্য মিলেছে। তবে এতে বিচলিত নন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। তিনি মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রচলিত রীতির পক্ষেই অবস্থান করছেন। বৃটেনভিত্তিক অনলাইন আল আরাবিয়া এ খবর দিয়েছে। তারা আরও লিখেছে, ভোক্তামূল্যকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ঋণে সুদের হার বৃদ্ধি করছে। কিন্তু বৈশ্বিক এ প্রবণতার দিকে যেতে নারাজ তুরস্ক। প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, উচ্চ হারে সুদ হলো তার সবচেয়ে বড় শত্রু।
গত মাসে টানা তৃতীয়বারের জন্য তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার সুদের হার কমিয়েছে। শতকরা ১২ থেকে তা কমিয়ে করা হয়েছে ১০.৫ ভাগ।
দেশটিতে আগামী বছর নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে এরদোগান বলেছেন, উচ্চ হারে সুদের কারণে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়। অপ্রচলিত রীতির কারণে নয়। এর আগে দেশটিতে ভোক্তা মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় শতকরা ৮৩.৪৫ ভাগে। এ অবস্থায় বুধবার পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন একেপি এমপিদের উদ্দেশে তিনি ভাষণ দেন। সেখানে অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে প্রশংসা করেন এরদোগান। তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে অর্থনীতির চাকা সচল আছে। আমাদের অর্থনৈতিক মডেল ফল দিচ্ছে। আমরা বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, উৎপাদন, রপ্তানির ওপর জোর দিয়েছি। এতে আমাদের একাউন্টে এখন উদ্বৃত্ত আছে। তবে সরকারি এই ডাটা নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য প্রশ্ন তুলেছেন অনেক তুর্কি। তুরস্কের নিরপেক্ষ অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইএনএজি রিসার্স ইনস্টিটিউট তার মাসিক গবেষণা রিপোর্টে বলেছে, অক্টোবরে বার্ষিক ভোক্তা মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে শতকরা ১৮৫.৩৪ ভাগে।