‘তৃতীয় পক্ষের’ হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা ‘কাল্পনিক’: বাংলাদেশ প্রসঙ্গে দিল্লির মুখপাত্র
বাংলাদেশে নির্ধারিত সময়ে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, এমনটাই চায় ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচির মতে, বাংলাদেশের বিষয়ে তাদের মনোভাব এখনো ‘অপরিবর্তিত’ রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা ‘সমীচীন নয়’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অরিন্দম বাগচি বলেন, তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনার মতো কাল্পনিক কোনো বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়। তিনি চানও না। ভারত চায়, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হোক এবং নির্ধারিত সময়েই হোক।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অরিন্দম বাগচি।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিরোধী দল বিএনপির লাগাতার আন্দোলন, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবি ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হয়।
দিল্লির মুখপাত্র বলেন, কয়েক দিন আগেই এ–সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি ভারত সরকারের মনোভাবের কথা জানিয়েছিলেন। সেই মনোভাব এখনো অপরিবর্তিত।
মুখপাত্র স্পষ্ট করেই বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার গড়া হবে কি না, সে বিষয়টি সে দেশের সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। তাই এ নিয়ে কিছু বলা সংগত নয়।’
এরআগে গত ৩ আগস্ট দিল্লির মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, ভারত সরকার ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’ পাশে রয়েছে।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় দৈনিকের উপসম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে নির্বাচনী জটিলতাকে কেন্দ্র করে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।