দেশের জন্য যেকোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত: রাহুল গান্ধী
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘চোর’ বলায় মানহানির মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এর জেরে শুক্রবার (২৪ মার্চ) লোকসভার সদস্যপদ হারান তিনি। ওইদিন বিকেলে নীরবতা ভেঙে টুইট করেন কংগ্রেস নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমি ভারতের জন্য লড়াই করছি এবং এর জন্য আমি যেকোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত আছি।’
‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন গুজরাটের সুরাট জেলা আদালত। এর পরই লোকসভায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয় রাহুলকে। কেরালা রাজ্যে তার আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। আসনটির জন্য বিশেষ নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার কথা জানায় নির্বাচন কমিশন।
সদস্য পদ হারানোর পর থেকে প্রশ্ন উঠছে রাহুল এই পদ ফিরে পাবেন কি না? সাড়ে চার দশক আগে ইন্দিরা গান্ধী লোকসভার সদস্য পদ হারিয়েছেলিন। তবে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ১৯৮০ সালের লোকসভায় ৩৫৩ আসন জিতেছিলেন তিনি। ভারতের প্রধানরমন্ত্রীও হয়েছিলেন। এতো বছর পর রাহুল গান্ধীর সামনেও কি সেই সুযোগ?
কংগ্রেস নেতা ইতিহাসের সেই পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবেন কি না? সেই প্রশ্নও এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। রাহুল গান্ধীর সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে এক মাসের জামিন দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, হাইকোর্ট রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিলে পদ ফিরে পেতে পারেন তিনি। অন্যদিকে, ইন্দিরা গান্ধীর মতো প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি নির্ভর করবে কংগ্রেস ও রাহুলের সরব হওয়ার পেছনে।
রাহুলের সদস্য পদ বাতিলের প্রতিবাদে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে যা আলাদা মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
কংগ্রেসের দাবি, সত্যি কথা বলার জন্য ‘শাস্তি’ পেলেন রাহুল। আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোর পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই আরও তীব্র করা হবে বলে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এদিকে, পদ হারানোর পরপরই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির নতুন ভারতে বিরোধীদলীয় নেতারা বিজেপির প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন!’
তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে ফৌজদারি অপরাধের রেকর্ড থাকা বিজেপি নেতাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, অন্যদিকে বিরোধী নেতাদের শুধুমাত্র তাদের বক্তব্যের কারণে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা করা হচ্ছে।’