ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা নিয়ে মোদির ভূমিকার প্রশংসা করলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় মোদি ‘অসামান্য কাজ’ করছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ভারতে দু দিনের সফরের শেষ দিন মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সিএএ নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। এটা আমি ভারতের ওপর ছেড়ে দিতে চাই। আশা করি ভারত সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, ধর্মীয় স্বাধনীতা যাতে সবাই পায়, সে কাজই করছেন মোদি। ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার জন্য ‘অসামান্য কাজ’ করছেন মোদি। তিনি খুবই শান্ত ও ধার্মিক।
ট্রাম্পের ভারত সফরের তিন দিন আগে ওয়াশিংটন থেকে জানানো হয়েছিল, সিএএ-এনআরসি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের বিষয়টি ভারতকে জানাবেন ট্রাম্প।
জনসভাতেও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে সরব হবেন। কিন্তু ভারত সফরে প্রকাশ্যে ট্রাম্প সেপথ মাড়ান নি। উল্টো ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা নিয়ে তিনি মোদির ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
সিএএ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কোনো আলোচনা হয় নি। তার থাকাকালে দিল্লিতে চলা সহিংসতা নিয়েও তিনি বলেন, এ ব্যাপারে শুনেছেন। কিন্তু বিষয়টি নিতান্তই ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ।’ ভারত সরকার সিএএ নিয়ে নিজের দেশের জন্য ঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলেই তিনি মনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি নিয়ে মোদি অসাধারণ কাজ করছেন। তিনি এ ব্যাপারে উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই চলেন। অন্য অনেক জায়গা থেকে ভারতের পরিস্থিতি ভালো।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর অনেক প্রশংসা করলেও দিল্লি ও ওয়াশিংটনের যৌথ বিবৃতিতে ‘স্বাধীনতার গুরুত্ব’, ‘সব নাগরিকের সমান অধিকার’, ‘মানবাধিকার’, ‘আইনের শাসনের’ মতো বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে।
কূটনীতিকরা বলছেন, ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে মোদিকে ধর্মীয় উদারতার প্রতীক হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তুলে ধরলেও যৌথ বিবৃতিতে আমেরিকার চাপেই কিছু বিষয় দিল্লিকে রাখতে হয়েছে।
ট্রাম্প মুখে না বললেও বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের সাম্প্রতিক ভূমিকায় মার্কিন ‘উদ্বেগ’ জায়গা করে নিয়েছে।
কূটনীতিকরা বলছেন, ট্রাম্পের সফরে উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি বলতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কয়েকটি চুক্তি। সেটাও ৩৫৩ কোটি ডলারের বিনিময়ে কিনতে হয়েছে ভারতকে।
বড় মাপের বাণিজ্য চুক্তি করার আশ্বাস ট্রাম্প দিলেও তা নিয়ে কোনও সময়সীমা নেই।
এ বছরে আমেরিকায় নির্বাচন। মোদির তৈরি করা মঞ্চ থেকে ট্রাম্প ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ভোটারদের মন জয়ের জন্য প্রচার চালিয়েছেন- এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ♦
সুূত্র: এনডিটিভি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও আনন্দবাজার।