‘নিউআর্ক অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের মালিকপক্ষ পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করেন না’
কোরি জেমস, নিউআর্ক, নিউ জার্সি (সিএসবিএন নিউইয়র্ক): অপর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থার কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে অভিযোগ করেছেন নিউআর্ক অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের ক’জন বাসিন্দা। তারা এ নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে লড়াই করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
দ্য কলোনেডস একটি ২০ তলা, ৫ শত ৬০ ইউনিটের অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স। এখানে কমবেশি হাজার মানুষ বাস করেন।
৮৩ বছর বয়সি এক বাসিন্দা জানিয়েছেন তার ৪৫ বছরের জীবনে সবচেয়ে খারাপ সময়টা শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে। সে বছরেই সম্পত্তির নতুন মালিক পিএফ হোল্ডিংস নিরাপত্তা কর্মীদের ছাঁটাই করেছে।
সিবিএস২-কে তিনি বলেন, ‘তখন থেকেই আমাদের দুঃস্বপ্নের শুরু।’
তিনি এবং তার অন্যান্য প্রতিবেশীরা জানান, দুঃস্বপ্নের মানে হলো, প্রধান দরজা খুলে রাখা হতো। অপরিচিত লোকজন ভবনে ঢুকে ঘুমিয়ে থাকত এবং মাত্র একজন নিরাপত্তা রক্ষী আলাদা দুটো প্রবেশ পথ পাহারা দিত।
জনসন জানান, একদিন কেউ একজন ভবনের নিম্নমানের নিরাপত্তা পেরিয়ে পুলিশের ছদ্মবেশে তার ঘরের ডোরবেল বাজায়। তিনি সাড়া দিয়ে ‘কে?’ জানতে চাইলে ওপাশ থেকে উত্তর এল, ‘পুলিশ’। এটা ছিল আতঙ্কজনক পরিস্থিতি।
ফ্রিডম ব্রেমার ওই ভবনেই থাকেন এবং অ্যাপার্টমেন্টের সমিতির সভাপতি। তিনিও ভীষণ ক্ষুব্ধ।
তিনি বলেন, ‘যদি কখনো সি বিল্ডিংয়ের ১৭ তলায় আগুন ধরে যায় এবং একই সময়ে ডি বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় যদি কেউ পানিতে পিছলে পড়ে যায়, এসব কিছু দেখার জন্য মাত্র একজন ব্যক্তি রয়েছেন, মাত্র একজন!’
সিবিএস২ পিএফ হোল্ডিংয়ের পক্ষের মতামত জানতে তাদের কাছে গিয়েছিল।
অ্যাটর্নি ডেরেক রিড বলেছেন, নিউআর্ক শহরে এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো তার ক্লায়েন্টকে নিরাপত্তা প্রহরী অধ্যাদেশ লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
রিডের মতে, এই অভিযোগ একবার ২০১৮ সালে এবং সম্প্রতি ২০২১ এর ফেব্রুয়ারিতে আদালত কর্তৃক বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে কারণ, ‘বাতিল ঘোষণা করা হলো কারণ বিবাদী অধ্যাদেশের নিয়ম মেনে চলেছে।’
এই অধ্যাদেশে বলা আছে কোনো কমপ্লেক্সে একের অধিক ভবনের জন্য অতিরিক্ত সুরক্ষার প্রয়োজন। কিন্তু অধিবাসীরা জানান, ‘দ্য কলোনেডস’ বাইরে থেকে দেখতে একটি কাঠামোর মতো মনে হলেও মূলত এর দুটি প্রবেশপথ এবং দুটোই আলাদা গন্তব্যের।
ব্রেমারের ধারণা কাঠামো বিবেচনার কারণেই আইন পিএফ হোল্ডিংকে একজন রক্ষীর অনুমতি দেয়।
তার বক্তব্য, ‘যদি অধ্যাদেশটি সত্যিই পরিবর্তিত হয়ে বাস্তবতা বিচারে কাজ করত, তবে তার বাস্তবায়ন হতো। পিএফ হোল্ডিংসকে ‘অত্যধিক অনুগত’ হতে বাধা দেওয়ার কিছু নেই… কিন্তু তারপরেও যেটা থাকে সেটা হলো, সিটি কাউন্সিল। সিটি কাউন্সিল আইনের এই ফাঁকিটা থাকতে দিচ্ছে।
জনসন বলছিলেন, ‘আমি যেটার জন্য দাম পরিশোধ করছি, সেটার জন্য আমি লড়তে করতে চাই না।’
সম্ভাব্য আইনের এই ফাঁকিটা জনসনের মতো প্রবীণ বাসিন্দাদের নিরাপত্তার বোধটি আবার কখনো ফিরে পাওয়ার ভাবনা ভাবিয়ে নিয়ে চলে।❐