পশ্চিমাদের কাছে সাঁজোয়া যান, ট্যাংক চেয়েছে ইউক্রেন
রুশ সেনাদের মোকাবেলায় পশ্চিমা মিত্রদের কাছে সাঁজোয়া যুদ্ধযান ও ট্যাংক চেয়েছে ইউক্রেন। কিয়েভের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রথমবারের মতো ইউক্রেনীয় সৈন্যদের এসব যুদ্ধ যান সরবরাহে আগ্রহ দেখিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। খবর আল জাজিরা।
৪ জানুয়ারি, বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন যে, তার সরকার কিয়েভের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে ফ্রান্সের তৈরি হালকা AMX-10 RC নামের সাঁজোয়া যুদ্ধ যান পাঠাবে। দুই দেশের শীর্ষ নেতার মধ্যে ফোনালাপে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান ফরাসি এক কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তা বলছেন, ‘এই প্রথম ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর সমর্থনে পশ্চিমা তৈরি সাঁজোয়া যান সরবরাহ করা হচ্ছে।’ তবে কবে নাগাদ এবং কি পরিমাণ অস্ত্র ইউক্রেনে পাঠানো হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি তিনি।
এদিকে ফরাসি যুদ্ধযান দিতে চাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনে ব্র্যাডলি ফাইটিং ভেহিকেল পাঠানোর কথা চিন্তা করছে ওয়াশিংটন। কেনটাকিতে ভ্রমণের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, ইউক্রেনকে ট্র্যাক করা সাঁজোয়া যুদ্ধযান সরবরাহ করা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না। উত্তরে তিনি শুধু ‘হ্যাঁ’ বলেছেন।
জানা গেছে, ব্র্যাডলি একটি মাঝারি সাঁজোয়া যুদ্ধযান যা ট্রুপ ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে। এটিতে চাকার ট্র্যাক রয়েছে, তবে গাড়িটি ট্যাঙ্কের চেয়ে হালকা এবং দ্রুতগামী। এটি একসঙ্গে প্রায় ১০ জন কর্মী বহন করতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত গোলাবারুদ বা যোগাযোগের সরঞ্জামও বহন করতে সক্ষম।
মার্কিনের কাছে হাজার হাজার ব্র্যাডলি রয়েছে। ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে এই অস্ত্র আরও শক্তি যোগাবে। শত্রু পক্ষের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যার এক টুইট বার্তায় সাঁজোয়া যানের ঘোষণার জন্য ম্যাক্রোঁকে ধন্যবাদ জানান জেলেনস্কি। অপর এক ভিডিও বার্তায় তিনি ইউক্রেনের অন্য মিত্রদের মস্কোর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারী অস্ত্র সরবরাহ করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।
ইতোমধ্যেই ইউক্রেনকে ৪৭৭টি মাইন রেজিস্ট্যান্ট অ্যাম্বুশ প্রোটেক্টেড ভেহিকেল এবং ১২০০টিরও বেশি হুমভিসহ ২,০০০ এরও বেশি যুদ্ধ যান দিয়েছে পেন্টাগণ।
কিয়েভে যুদ্ধ ক্ষেত্রে এখনও মার্কিনিদের তৈরি আব্রামস ট্যাঙ্ক এবং জার্মানির নির্মিত লিওপার্ড ট্যাঙ্কের অভাব রয়েছে। এসব অস্ত্র বারবার পশ্চিমা মিত্রদের সরবরাহ করতে বলেছে ইউক্রেন।