পৌরসভা নির্বাচন: ৪৫টিতে আ.লীগ ৪টিতে বিএনপির প্রার্থী জয়ী
দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনেও নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ ধাপের ৬০টি পৌরসভার মধ্যে ৪৯টিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বেসরকারিভাবে মেয়র পদে জয়লাভ করেছেন। এছাড়া দলটির চারজন বিদ্রোহী প্রার্থীও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন চারজন। দলটির দুজন বিদ্রোহী প্রার্থীও জিতেছেন। এই দুই দলের বাইরে জাতীয় পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের একজন করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছেন দুটি পৌরসভায়।
শনিবার ৬০টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কিশোরগঞ্জের একটি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত থাকায় ওই পৌরসভার ফল ঘোষণা করা হয়নি। এদিন ভোটে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের ৪১ প্রার্থী। একক প্রার্থী থাকায় ভোটের আগেই চারজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পান। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় ধাপে দলটির ৪৯ জন মেয়র নির্বাচিত হলেন। এর আগে প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ২৯টিতে, বিএনপি ২টিতে ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৩টিতে জয় পেয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের মেয়র হলেন যারা : চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে মোক্তাদের মাওলা সেলিম, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে লতিফুর রহমান রতন ও কেন্দুয়ায় আসাদুল হক ভূঞা, কুষ্টিয়া সদরে আনোয়ার আলী, মিরপুরে হাজী এনামুল হক ও কুমারখালীতে মো. সামছুজ্জামান অরুন, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সিপার উদ্দিন আহমেদ ও কমলগঞ্জে মো. জুয়েল আহমেদ। মাগুরায় খুরশিদ হায়দার টুটুল, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বিল্লাল হোসেন সরকার ও ফুলবাড়িয়ায় মো. গোলাম কিবরিয়া, নাটোরের নলডাঙ্গায় মনিরুজ্জামান মনির, গুরুদাসপুরে শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা ও গোপালপুরে রোকসানা মোর্তজা লিলি, মেহেরপুরের গাংনীতে আহম্মেদ আলী এবং বান্দরবানের লামায় মো. জহিরুল ইসলাম জয় পেয়েছেন।
খাগড়াছড়িতে নির্মলেন্দু চৌধুরী, ফেনীর দাগনভূঞায় ওমর ফারুক খান, নোয়াখালীর বসুরহাটে আবদুল কাদের মির্জা, বাগেরহাটের মোংলাপোর্টে শেখ আব্দুর রহমান, গাজীপুরের শ্রীপুরে মো. আনিছুর রহমান, ঢাকার সাভারে হাজী মো. আবদুল গণি, রাজশাহীর কাকনহাটে একেএম আতাউর রহমান ও ভবানীগঞ্জে আবদুল মালেক, সুনামগঞ্জ সদরে নাদের বখত ও ছাতকে আবুল কালাম চৌধুরী এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মতিউর রহমান মতি বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
শরীয়তপুর সদর পৌরসভায় পারভেজ রহমান জন, পাবনার ফরিদপুরে খন্দকার মো. কামরুজ্জামান, সাঁথিয়ায় মাহবুবুল আলম ও ঈশ্বরদীতে ইছাহক আলী মালিথা, দিনাজপুরের বিরামপুরে আক্কাস আলী, নওগাঁর নজিপুরে রেজাউল কবির চৌধুরী, সিরাজগঞ্জ সদরে সৈয়দ আবদুর রউফ মুক্তা, উল্লাপাড়ায় এসএম নজরুল ইসলাম ও রায়গঞ্জে আব্দুল্লাহ আল পাঠান এবং ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কাজী আশরাফুল আজম নির্বাচিত হয়েছেন। নরসিংদীর মনোহরদীতে আমিনুর রশিদ সুজন, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সৈয়দ হাসান সরোয়ার মহসিন, কুমিল্লার চান্দিনায় শওকত হোসেন ভূইয়া ও ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সেলিম রেজা জয় পান। এর আগে নারায়ণগঞ্জের তারাব, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, পাবনার ভাঙ্গুরা ও পিরোজপুর-এ চারটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মেয়র পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে হবিগঞ্জের মাধবপুরে হাবিবুর রহমান ও নবীগঞ্জে সাবির আহমেদ চৌধুরী, বগুড়ার সান্তাহারে তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু ও দিনাজপুর সদরে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে মনিরুজ্জামান বকুল, রাজশাহীর আড়ানীতে মুক্তার আলী, দিনাজপুরের বীরগঞ্জে মোশাররফ হোসেন বাবুল ও গাইবান্ধার সদর পৌরসভায় মো. মতলুবর রহমান মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে বিএনপি বিদ্রোহী হিসাবে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আক্তারুজ্জামান আক্তার ও শেরপুরে জানে আলম খোকা মেয়র পদে জয় পেয়েছেন।
এছাড়া কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের আনোয়ারুল কবির টুটুল ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জাতীয় পার্টির আব্দুর রশিদ রেজা সরকার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। স্বতন্ত্র হিসেবে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মোহাম্মদ হোসেন ফাকু ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সাজ্জাদুল হক রেজা মেয়র হয়েছেন।❐