প্রকল্প বাস্তবায়নে টাকার সমস্যা নেই : পরিকল্পনামন্ত্রী
প্রকল্প বাস্তবায়নে আমাদের টাকার কোনো সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তিনি বলেন, আকাশে মেঘ থাকলে সর্বোচ্চ ছায়া পড়ে। তবে আমাদের টাকার কোনো সমস্যা নেই। প্রকল্প বাস্তবায়নে যে টাকা দিয়েছি, তা-ই খরচ করতে পারছে না প্রকল্প পরিচালকেরা। প্রকল্পে টাকার সমস্যা নেই।
বুধবার শেরেবাংলা নগরের নিজ দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে ডলারের ঘাটতি আছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ফরেন এইডে টাকার বিশাল পাইপলাইন আছে। ফরেন এইডে ছাড় ও প্রতিশ্রুতি কমেছে। এর কারণ আমরা সাশ্রয় করছি সব খাতে।’
তিনি বলেন, ‘দুনিয়ার কোনো দেশ শতভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে না। এমনকি সবচেয়ে উন্নত দেশ ইংল্যান্ডও বাস্তবায়ন করে না। দেশটির বিষয়ে আমার কিছু ব্যক্তিগত ধারণা আছে, পরিবার-পরিজন কেউ কেউ সেখানে বসবাস করে। মাঝেমধ্যে আসা-যাওয়া করি, বই পড়ি। এই থেকে জানতে পেরেছি ইংল্যান্ডেও অনেক প্রকল্প ১৫ থেকে ২০ বছর ঝুলে আছে।’
প্রকল্পের ধীরগতি প্রসঙ্গে ইংল্যান্ডের উদাহরণ টেনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ইংল্যান্ডও এসব প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারছে না। আমি খোঁজখবর নিয়ে থাকি এটা কেন হলো। এখানেও একই সমস্যা, তা হলো মানুষের বসবাস ও শব্দদূষণ। বিশেষ করে হিথরো বিমানবন্দরের রানওয়ের কাজ ২০ বছর ধরে ঝুলে আছে। কারণ এই এলাকার মানুষ অভিযোগ দিয়েছে প্লেনের শব্দে নাকি তারা ঘুমাতে পারে না। আমাদের দেশেও একই সমস্যা আছে।’
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে ধীরগতির জন্য জমি অধিগ্রহণ জটিলতাকে দুষছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। একই সঙ্গে অর্থের প্রাপ্তির ধীরগতিও দায়ী বলে মনে করেন তিনি।
আবার তিনি মনে করেন, প্রকল্প পরিচালকরা কেউই প্রকল্প এলাকায় থাকেন না। একই সঙ্গে একাধিক প্রকল্পের দায়িত্ব নিয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ঢাকায় থাকেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি কমে। প্রকল্প বাস্তবায়নে কেন ধীরগতি হয়, সেই জবাব কিন্তু আমাদের কাছে আছে। এর প্রধান কারণ জমি-সংক্রান্ত। এটা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জমির মালিকানা, মাজার-মসজিদ, অনেক আবেগ জড়িত আছে; তাই প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি পেতে দেরি হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্প টাকার ওপর নির্ভর করে। প্রকল্প বাস্তবায়নের টাকার গতিবিধি স্মুথ করতে পারিনি। প্রকল্প চলাচলের গতিবিধি সঠিক নয়, স্মুথ করতে পারি না। প্রকল্পের টাকা বারবার টক্কর খায়।’