প্রচন্ড শীতে ভোগান্তি, স্থবির জনজীবন
প্রচন্ড শীতে স্থবির জনজীবন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি বেড়েছে রাজধানীর ফুটপাতসহ নিম্নবিত্ত মানুষদের। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাস শরীরে বিঁধছে সুচের মতো। আগামী দুইদিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) গড়ে আরও ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে।
সকাল থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল রাজধানী। দুপুরে সূর্য উঠলেও তাপ ছড়াতে পারে নি। ফলে বাড়েনি তাপমাত্রা। উল্টো দুপুরের পর আরও কমে গেছে তাপমাত্রা। বিকাল থেকে শুরু হয় কনকনে বাতাস। ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বইছে বাতাস। আরও এক থেকে দুইদিন স্থায়ী হতে পারে এই তাপমাত্রা।
আবারও বৃষ্টির শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আগের মতোই থাকবে আর বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা কমে পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানান,ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহ না হলেও ঠান্ডার অনুভূতি অনেক। কারণ ঢাকায় সূর্য উঠলেও তাপ ছড়াতে পারে নি। ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা খুব একটা বাড়ে নি।
আজ ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৬। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৬। এই দুই তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান কম হওয়ার কারণে ঠান্ডার অনুভূতি বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন,এই তাপমাত্রার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমের বাতাসের কারণে রাজধানীবাসীর ঠান্ডা বেশি লাগছে।
এদিকে চলতি মাসের মাঝামাঝি আরও একটি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়,চলতি মাসে দেশে ২ থেকে ৩টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে দুইটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, পাবনা, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ ও যশোর অঞ্চল এবং রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটা অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ জানান,আজ রাতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও এক ডিগ্রি কমতে পারে। দিনের বেলা একই থাকবে। আগামী দুইদিন এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।এরপর বৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। না হলে আগের চেয়ে পরিস্থিতি ভালো হবে।