প্রবাসীদের ৫ সেকেন্ডের মধ্যে টাকা পাঠানোর ‘ব্লেজ’ উদ্বোধন করলেন সজীব ওয়াজেদ
প্রবাসীদের ৫ সেকেন্ডের মধ্যে টাকা পাঠানোর ‘ব্লেজ’ নামে একটি রেমিটেন্স সুবিধা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে এ সেবার উদ্বোধন করেন।
সেবাটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ব্লেজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন হচ্ছে বাংলাদেশকে উন্নত করা, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে আরও সহজ করা। গত ১৭ মাসে করোনা মহামারির মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আমরা সবচেয়ে বেশি পেয়েছি। বিশ্বের ধনী দেশগুলো করোনার মধ্যে দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। তাদের স্কুল-কলেজগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ তাদের ডিজিটাল সুবিধা ছিল না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল সেবার প্রস্তুতি আমরা অনেক আগে থেকে নিয়েছি। ভিডিও কনফারেন্স শুরু করেছি, ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দিয়েছি। ই-নথি বাস্তবায়ন শুরু করেছি। করোনার আগে সকল সরকারি বিভাগ এবং মন্ত্রণালয় ই-নথি, ভিডিও কনফারেন্স তেমন একটা ব্যবহার করেনি। কিন্তু করোনা শুরুর পরই থেকেই এ সুবিধা সকল সরকারি দপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ে চালু হতে থাকে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্স চালুর পাশপাশি চিকিৎসা সেবাও প্রদান করা হয়।
জয় বলেন, করোনা মহামারি মধ্যে দ্রুত সময়ে আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলে যেতে পারায় আমাদের সরকারে এবং দেশের অর্থনীতিতে কোভিডের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। কারণ আমার এই প্রস্তুতি অনেক আগে থেকে নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য কিন্তু শুধুমাত্র আজকের প্রয়োজন না। আমাদের দেশে ভবিষ্যতে কী প্রয়োজন হবে সেটাই হচ্ছে আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য। আজ থেকে ১০ বছর পর বাংলাদেশ কেমন হবে সেটাই আমাদের ভিশন। এই ভিশনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা এখন প্রবেশ করব ক্যাশলেস সমাজে। আমাদের দেশে ৫ কোটি মানুষের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। তারা নগর টাকার বিনিময়ে লেনদেন করছে। আর এই নগর টাকার কারণে দেশে দুর্নীতি বাড়ছে, লুটপাট বাড়ছে। কিন্তু আমরা যখন নগদ বিহীন লেনদেনে চলে যাব তখন দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, সরকারি সকল ভাতা এখন আর নগদ টাকায় দেওয়া হচ্ছে না। ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেওয়া হয়। এর ফলে যারা আগে গ্রামে টাকা বিতরণ করত তাদের টাকা চুরি করার একটা সুযোগ থাকত। কিন্তু আমরা সেই সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছি।
জয় বলেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় আয় প্রবাসীদের রেমিটেন্স। কিন্তু প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠাতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়েন। আবার টাকা পাঠালেও তাদের স্বজনদের টাকা হাতে পেতে দুই-তিনদিন সময় লাগে। ডিজিটালের এ যুগে এমন সমস্যা আর থাকা উচিত নয়। সেজন্য এই ব্লেজ সার্ভিসের উদ্বোধন করা হলো।
ব্লেজের মাধ্যমে বিদেশ থেকে কেউ দেশে টাকা পাঠালে মাত্র ৫ সেকেন্ডের মধ্যে তার স্বজনরা টাকা পেয়ে যাবেন। টাকা পেতে আর ব্যাংক চালুর অপেক্ষা করতে হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় ৩৫টি ব্যাংক এই ব্লেজ সুবিধা চালু করবে। সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা এই সেবা পাওয়া যাবে।