প্রাথমিক প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার কারণ জানালো ভারতের রেল কর্তৃপক্ষ
বিস্তারিত তদন্তের জন্য এখনো দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে ভারতের রেল কর্তৃপক্ষ৷ তবে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন তারা। রেল কর্তৃপক্ষ থেকে একটি যৌথ পরিদর্শন রিপোর্টে জানানো হয় সিগন্যালের ত্রুটিই ছিল ভারতের উড়িষ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘আপ মেইন লাইনে সবুজ সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি সেই লাইনে ঢোকেইনি। ট্রেন ঢুকেছিল লুপ লাইনে। সেখানে আগে থেকে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। তার সঙ্গে সংঘর্ষে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।’
রিপোর্টে আরও বলা হয়, ‘এর মাঝে ডাউন লাইন দিয়ে বালেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়।’
এদিকে জার্মানি সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে জানায়, সুপারফাস্ট লাইনচ্যুত হয় সন্ধ্যা সাতটা বাজার পাঁচ মিনিট আগে৷ তার কিছুক্ষণ পরে লাইনচ্যুত হয়েছে করমণ্ডল৷ এক্ষেত্রে সুপারফাস্টের কামরা লাইনচ্যুত হয়ে করমণ্ডলের লাইনে এসে পড়ায় সংঘর্ষ হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ আবার লাইনে ত্রুটি থাকায় করমণ্ডল লাইনচ্যুত হতে পারে৷
শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল, দুইটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে৷ রেলের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, একটি ট্রেনের উপর অন্যটির ইঞ্জিন উঠে গিয়েছে৷ এতে বোঝা যায়, মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়নি। লাইনচ্যুত হয়ে পাশাপাশি ট্র্যাকে থাকা ট্রেনে ধাক্কা লেগেছে৷
ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাথমিক উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ওডিশা রাজ্যে তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ২৬১ জন নিহত এবং অন্ত্যত ১০০০ জন আহত হয়েছেন।