ফোনালাপে সমাধান হয়নি, ইউক্রেনের তিন দিকে ঘিরে রেখেছে রাশিয়া
রাশিয়া সম্ভবত আগ্রাসনের পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে না। ইউক্রেন ইস্যুতে এমনই এক সম্ভাব্য ভবিষ্যতের দিক উঠে আসছে বলে দাবি আমেরিকার।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ফোনে টানা ১ ঘণ্টা ধরে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে হোয়াইট হাউস সূত্রে। যুক্তরাষ্ট্রের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, এই আলোচনার পরও কোনো সমাধান সূত্র মেলেনি। এরপরই আমেরিকার পক্ষ থেকে এসেছে বড়সড় হুমকির বার্তা। খবর হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার।
ওই কর্মকর্তার মতে, ফোনে আলোচনার পরও ইউক্রেন নিয়ে নিজের নীতিতেই অটল ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার দাবি, তারা নিজেদের সীমান্ত রক্ষার জন্যই ওই সেনা মোতায়েন করেছে। এক্ষেত্রে বারবার এই ইস্যুতে আমেরিকার বক্তব্যকে খারিজ করেছে রাশিয়া। এদিকে পুতিন-বাইডেন আলোচনার পরই আমেরিকা জানিয়ে দেয় যদি রাশিয়া আরও একধাপ এগিয়ে ইউক্রেনের দিকে তাদের আগ্রাসনের নীতি বজায় রাখে তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী পদক্ষপ নেবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুতিনকে জানিয়ে দেন, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের চিহ্ন দেখলেই আমেরিকা ও তার সঙ্গীরা চুপ করে বসে থাকবে না। কার্যত পুতিনকে এদিন সাফ বার্তায় বাইডেন বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়া আর একধাপ এগোলেই পশ্চিমা দুনিয়া কড়া পদক্ষেপের পথে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশ্বে মস্কোকে একঘরে করতে সময় লাগবে না পশ্চিমা দুনিয়ার।
হোয়াটই হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার কথায় স্পষ্ট ছিলেন। যদি রাশিয়া আরও একধাপ ইউক্রেন আগ্রাসনের পথে এগিয়ে যায়, তাহলে আমেরিকা ও তার সঙ্গী দেশগুলো সেইভাবে করণীয় নির্ধারণ করবে। সেক্ষেত্রে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর পথে যে আমেরিকা হাঁটবে তা স্পষ্ট করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে সম্ভাব্য রুশ আগ্রাসন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১০ টি দেশের প্রশাসন তাদের নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে। এজন্য হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইনও বেঁধে দেয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডসসহ একাধিক দেশ নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তে ১০ হাজার সেনা নিয়ে কার্যত রাশিয়া আক্রমণের পথে যাচ্ছে বলে মনে করছে পশ্চিমা দুনিয়া। আগ্রাসন যে কোনো সময় হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। উল্লেখ্য, ন্যাটোতে যাতে ইউক্রেনের পদার্পণ রুখে দেয়া যায়, তার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে সিকিউরিটি গ্যারান্টির দাবি করে আমেরিকার মুখাপেক্ষী হয়েছিল রাশিয়া। সেক্ষেত্রে রাশিয়ার সীমান্তে ইউক্রেনের মিসাইল মোতায়েনকে রাশিয়া ভালো চোখে নিচ্ছে না।