বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনী ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
এর ফলে তার ফাঁসি কার্যকর আর কোনও বাধা নেই কারা কর্তৃপক্ষের। আগামী সপ্তাহের শুরুতে মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে বলে নিশ্চিত করেছে কারা সূত্র।
গতকাল বুধবার বিকেলে মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন কারা কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠায়।
রাত ১০টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
এ ব্যাপারে কারা অধিদফতর ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললেও তারা ফাঁসির বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন নি।
তবে কারাগারের এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যেহেতু আর কোনও বাধা নেই, সেহেতু ফাঁসি কার্যকর সময়ের ব্যাপার মাত্র। ঢাকা জেলা প্রশাসন যখন চাইবে, তখনই ফাঁসি কার্যকর করতে পারব। বৃহস্পতিবার শবে বরাত হওয়ায় সে দিন ফাঁসি কার্যকর করার কথা নয়। সেক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহের যে কোনও সময় ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
এর আগে, বুধবার দুপুরে ঢাকা জজ আদালত মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানার সেই কপি কারাগারে যায় এবং মাজেদ প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন।
গেল ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোর পৌঁনে চারটায় বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী মাজেদকে মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। আব্দুল মাজেদকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে ক্যাপ্টেন মজিদকে।
বঙ্গবন্ধুর এই হত্যাকারী দীর্ঘদিন বিদেশে পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্টও ছিল। গত মাসের কোনও এক সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাজেদ দেশে ফেরেন।◉