বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১০দিনব্যাপী ভার্চুয়াল বাংলা বইমেলা
আগামী ১৮ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর জাতির জনককে নিবেদিত ১০দিনব্যাপী ভার্চুয়াল বাংলা বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বলে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলা ২০২০ এর আহ্বায়ক, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও এমিরেটাস অধ্যাপক ড. জিয়াউদ্দীন আহমেদ।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একথা জানানো হয়।
‘যত বই তত প্রাণ’ শ্লোগান নিয়ে এটি হবে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত বইমেলার ২৯ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে জাতিসংঘের সামনে শহীদ মিনার স্থাপন করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং আমেরিকায় বাংলা বইমেলার শুরু করে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত লেখক-সাহিত্যিক-শিল্পী ও ২০টি প্রকাশনা সংস্থার অংশগ্রহণে এবারই প্রথম ভার্চুয়াল বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বলে জানানো হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
১০ দিনের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন থাকবে ৪র্থ শিশু-কিশোর মেলা। ২৫ সেপ্টেম্বর থাকছে মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে নামক বিশেষ অনুষ্ঠান। প্রতিদিনের অনুষ্ঠান দেখা যাবে নিউ ইয়র্ক বইমেলার ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেল ও সরাসরি টেলিভিশনে। এছাড়া পৃথিবীর সকল দেশ থেকেই বই কেনার ব্যবস্থা থাকবে।
নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলা ২০২০-এর আহ্বায়ক জানান, বছর শুরু হওয়ার আগেই বইমেলা জাতির জনককে নিবেদনে নানা প্রক্রিয়া শুরু করে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন। নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটে জাতির জনকের শতবর্ষ উদযাপনের রেজু্লেশন পাশ এবং ২৫ সেপ্টেম্বর যেদিন জাতির পিতা জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন সেদিনকে বাংলাদেশী ইমিগ্রান্ট ডে ঘোষণা করার উদ্যোগ ছিল উল্লেখযোগ্য।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক বলেন, মার্চে সারা পৃথিবী যখন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ইউনাইটেড স্টেট পোস্টাল সার্ভিস কর্তৃক মাসব্যাপী জাতির পিতা স্মারক ডাকচিহ্ন প্রকাশ করেন। আজ পৃথিবীর নানা প্রান্তে বসবাসরত মানুষের কাছে জাতির জনকের লেখা গ্রন্থ ও তাঁকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন প্রকাশনাসহ বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলো পৌছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। সকলের অংশগ্রহণেই এটি স্বার্থক হবে।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক ফেরদৌস সাজেদীন পৃথক এক ভিডিও বার্তায় নিউ ইয়র্ক বইমেলার পক্ষ থেকে সকলে শুভেচ্ছা জানান। বিশ্বজুড়ে অভাবনীয়, দুঃসহ ও অসহায় সময়ের ভেতর দিয়ে জীবন অতিবাহিত কথা উল্লেখ করে তিনি যাদেরকে আমরা হারিয়েছি, তাদের সকলকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভার্চুয়াল এই বই মেলাটি হবে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি। পৃথিবীর সকল বাঙালির একটি মিলনমেলার লক্ষ্যে তাদের প্রয়াস থাকবে যে ভার্চুয়াল এই মেলাটিও হয়ে উঠবে সবার প্রাণের মেলা।❑