বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ৫২টি এলাকা লকডাউন
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ৫২টি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে।
এসব এলাকার বাসিন্দারা এখন আর ওই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় যেতে বা বাইরের কেউ ওই এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। কাউকেই রাস্তায় নামতে দেয়া হবে না। সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকার ৪২ টি এলাকা লকডাউনের আওতায় ছিল। মঙ্গলবার আরও ১০টি এলাকা লকডাউন করা হলে সবমিলিয়ে দাঁড়ায় ৫২।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত লকডাউন করা এলাকাগুলো হলো – মিরপুরের টোলারবাগ, উত্তর টোলারবাগ, মিরপুর-১০-এর ৭ নম্বর রোড, মিরপুর-১৩ ডেসকো কোয়ার্টার, মিরপুর সেকশন ১১-এর একটি সড়ক, কাজীপাড়ার একটি অংশ, সেনপাড়ার একটি অংশ, আশকোনার কিছু অংশ, উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের একটি সড়ক এলাকা, বসুন্ধরা এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালসংলগ্ন এলাকা, বসুন্ধরা ডি ব্লকের রোড-৫, মহাখালীর আরজত পাড়ার একটি ভবন, বুয়েট এলাকার একাংশ, ইস্কাটনের দিলু রোডের একাংশ, সেন্ট্রাল রোডের কিছু অংশ, পল্টনের কিছু অংশ, সোয়ারীঘাটের কিছু অংশ, ইসলামপুরের একাংশ, নয়াটোলার একাংশ, মীর হাজিরবাগের একাংশ, মোহাম্মদপুর এবং আদাবরের ৬টি এলাকা, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সামনে, তাজমহল রোড মিনার মসজিদ এলাকা, রাজিয়া সুলতানা রোড, বাবর রোডের একাংশ, বছিলা ও আদাবর এলাকার কয়েকটি বাড়ি ও রাস্তানন্দীপাড়ার ব্রিজের পাশের এলাকা, লালবাগের খাজে দেওয়ান রোডের একটি, ধানমন্ডি-৬-এর একটি অংশ, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী, পশ্চিম মানিকনগর, নারিন্দার কিছু এলাকা, গ্রিন লাইফ হাসপাতাল এলাকা ।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে করোনা রোগী শনাক্ত হলেই পুরো এলাকা লকডাউন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা মোতাবেক যেসব এলাকায় রোগী পাওয়া যাচ্ছে, সেসব এলাকা লকডাউন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আইইডিসিআরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের এক মাসের মাথায় এসে মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে মোট ১৬৪ জন এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮০ জনই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।◉