বাংলাদেশে আগামীকাল ভোট, কেন্দ্রে ভোটার টানাই চ্যালেঞ্জ
একদিকে নির্বাচনের আয়োজন, অন্যদিকে বর্জনের ডাকে ভোটের দিনও হরতাল- এমন বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই আগামীকাল রবিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে একটানা ভোট গ্রহণ করা হবে। তবে এ ভোটে ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করাই বড় চ্যালেঞ্জ ইসিসহ নির্বাচনী সংশ্লিষ্টদের।
এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে স্বতন্ত্র (ডামি) প্রার্থী দাঁড় করানোসহ নানা কৌশল নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে বিএনপিসহ ইসিতে নিবন্ধিত ১৬টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের বাইরে রয়েছে। সরকারবিরোধী এ রাজনৈতিক দলগুলো এবার ভোট বর্জন করেছে। তারা আজ শনিবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালন করছে। অর্থাৎ, আগামীকাল রবিবার ভোটের দিনও হরতাল বিএনপির।
বিএনপির ভোট বর্জনের মধ্যেই শুক্রবার ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। ঢাকায় শুক্রবার রাতে ট্রেনেও আগুন দেওয়া হয়েছে। যদিও ভোটের মাঠে নিরাপত্তায় রয়েছে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর সাড়ে ৭ লাখ সদস্য।
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যেমন শঙ্কিত, তেমনি অতীতের নির্বাচনগুলোর ইতিহাস বিশেষ করে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘রাতেই ভোট করে ফেলা’র অভিযোগ, তার আগে দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভোটসহ নানা কারণে ভোটাররাও কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অন্যতম বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি এবার ভোটে নেই। তাদের জোটসঙ্গীরা ভোটে নেই। তাই স্বাভাবিকভাবে এবার ভোটারের বড় একটা অংশের আগ্রহও কম।
তবে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ মনে করেন, শক্তিশালী অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন এবার। তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণেও অনেক ভোটার কেন্দ্রে যাবেন। ফলে স্বাভাবিক উপস্থিতি না থাকলেও ভোটার একেবারে কম হবে না।