বাংলাদেশে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
রোববার (৩১ মে) সকাল সাড়ে ১০টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির কারণে এবার সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট ও এসএমএস মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ফলপ্রকাশ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় শিক্ষাবোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানেরা শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ফলাফলের কপি তুলে দেন।
এ বছর সকল বোর্ড মিলিয়ে সারাদেশে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১,৩৫,৮৯৮ জন পরীক্ষার্থী। সারা দেশে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ওদিকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭২ দশমিক ৭০ শতাংশ।
প্রকাশিত ফলে জানা যায়, বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর এই বোর্ডে উত্তীর্ণদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৪৮৩ জন। যশোর বোর্ডের ক্ষেত্রে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩১ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৩৭৬৪ জন। ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮০ দশমিক ১৩ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৪৩৪ জন।
সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৯, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪২৬৩ জন। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৭৩ এবং ১২০৮৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ২২ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০,২৪৫ জন শিক্ষার্থী।
জিপিএ-৫ পাওয়ার তালিকায় সবার উপরে রয়েছে ঢাকা বোর্ড। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৩৬,০৪৭ জন। ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৪। বোর্ডগুলোর মধ্যে পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৭। জিপিএ-৫ পেয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬,১৬৭ জন পরীক্ষার্থী।
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। চলতি বছর এই বোর্ডে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা গতবার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯০০৮ জন পরীক্ষার্থী।
মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয় দুই লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন। ছাত্রী অংশ নেয় এক লাখ ৪৭ হাজার ১১৬ জন। ছাত্রের তুলনায় ১২ হাজার ৯৭৮ জন বেশি। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় এক লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
এ বছর ৩ ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষা শুরু হয়। শেষ হয় ওই মাসেরই ২৭ তারিখে। প্রায় সাড়ে ২০ লাখ ছেলে মেয়ে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
ফল প্রকাশের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির স্বাভাবিকতা বুঝে ধাপে ধাপে খোলা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।⛘