Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
September 21, 2024
হেডলাইন
Homeআন্তর্জাতিকবাংলাদেশে বছর শুরু হবে মৌসুমের দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে

বাংলাদেশে বছর শুরু হবে মৌসুমের দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে

বাংলাদেশে বছর শুরু হবে মৌসুমের দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে

আজ সোমবার, যশোর বাদে বাংলাদেশের সর্বত্রই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। কমছে শীতের দাপট। ঢাকায় একদিনের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ঘন কুয়াশা আকাশের নিচের স্তরে নেমে আসার কারণে গত পাঁচ দিন দেশের কোথাও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সূর্যের দেখা না মেলায় এবং জলীয় বাষ্পভরা আর্দ্র বাতাসে ঘন কুয়াশা শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

দিনের তাপমাত্রা যেখানে স্বাভাবিকভাবে ২৫-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা, সেখানে সূর্যের দেখা না মেলায় ১০-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে তাপমাত্রা। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাতে শীতের প্রকোপ খুব বেশি বাড়বে না বলেই বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে সারাদেশে হঠাত্ শীত জেঁকে বসায় খেটে খাওয়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। অফিসগামী মানুষ গায়ে গরম কাপড়, কানটুপি ও গলায় মাফলার পেঁচিয়ে অফিস করছে। সকালে তারা ঘর থেকে বের হচ্ছে একটু দেরি করে, তেমনি ঘরেও ফিরছে খুব দ্রুত। সন্ধ্যার পর বা সারাদিন অন্যান্য দিনের তুলনায় শহরের বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম দেখা যাচ্ছে খুব কমই। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বেড়েছে আরো বেশি। বিভিন্ন জেলার হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে, শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।

হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স বলেছে, বর্তমানে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা অনেকাংশে কমে আসছে। এর কারণে সামনের পথচারী ও বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। আজ থেকেই দেশের অনেক জায়গায় সূর্যের দেখা মিলতে পারে আভাস দিয়ে আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, রোদ পাওয়া গেলে সার্ফেস টেম্পারেচার বাড়বে। দুয়েক দিন পর তাপমাত্রা আরো বাড়বে। তাতে শীতের তীব্রতা কমে আসবে।

আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও ঠাণ্ডার অনুভূতি বেশি হচ্ছে। দিনে-রাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকায় বেশি শীত লাগছে। দিনের বেলায় তাই স্বাভাবিক নাগরিক জীবনেও প্রভাব পড়ছে। এ মাসের শেষের দিকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বৃষ্টিতে কুয়াশা কেটে যাবে। তারপর মৃদু বা মাঝারি শৈত্য প্রবাহ শুরু হতে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড এ শীতে সবচেয়ে কষ্ট পাচ্ছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান, আজ সোমবার থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। চলতি সপ্তাহের শেষে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মাসের শেষে তাপমাত্রা বাড়লেও বছর শুরু হবে মৌসুমের দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে।

গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment