বাংলাদেশে ভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চায় `ভারত বায়োটেক`
‘ভারত বায়োটেক’ তাদের কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতে চেয়ে আবেদন করেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে একথা জানান বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
গত নভেম্বরে ‘ভারত বায়োটেক’ ভারতেই কোভ্যাক্সিনের প্রয়োগ শুরু করে। এর বিস্তারিত ফলাফল মার্চ নাগাদ পাওয়া যাবে। তবে বাংলাদেশে এরইমধ্যে ভারত থেকে উপহার হিসেবে পৌঁছেছে ২০ লাখ ভ্যাক্সিন, যা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকৃত, তবে তা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি।
এছাড়াও একই ভ্যাক্সিন আরও তিন কোটি ডোজ কেনার পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশের, যার ৫০ লাখ ডোজ এই জানুয়ারিতেই পাবে তারা।
ভারত সরকারের ভ্যাক্সিনের দায়িত্বে থাকা একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিনোদ কুমার পাল রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এক থেকে দুই হাজার জনের উপর ভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করার জন্য তারা আবেদন করেছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা মাহমুদ-উজ-জাহান তাদের আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রিভিউ কমিটি এই আবেদনের নৈতিক দিকগুলো বিবেচনা করে দেখবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর বেশী কিছু বলতে রাজী হন নি ওই কর্মকর্তা।
রয়টার্স আরও জানায়, ঢাকাস্থ ডায়রিয়া সংক্রান্ত রোগ নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি ভারত বায়োটেকের হয়ে এই ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করতে চায়। ভারত বায়োটেক কিংবা আইসিডিডিআরবি’র কোনও মুখপাত্র এই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে চান নি।
সাইনোভ্যাক বায়োটেকের শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে বাংলাদেশ তাদের সহ-অর্থায়ন দিতে রাজি না হওয়ায় সেটি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। রয়টার্স থেকে জানা যায় এখনই কোভ্যাক্স কেনার পরিকল্পনা নেই বাংলাদেশের।❐