বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ৩০০ ছাড়াল, মোট শনাক্ত ২০ হাজার ৯৯৫ জন
গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে নতুন করে ৯৩০ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ২০ হাজার ৯৯৫ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন আরও ১৬ জন। মৃতদের মধ্যে ১৬ জনই পুরুষ। জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকার ১২ জন, চট্টগ্রামের ২ জন এবং রংপুরের ২ জন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি ৩১৪ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৩৫ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪ হাজার ১১৭ জন
শনিবার (১৬ মে) দুপুরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
দেশের ৪১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হলেও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ঢাকার ২০টি ল্যাবের মধ্যে ১২টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং ঢাকার বাইরে ২১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৬ হাজার ৫০১ টি নমুনা সংগ্রহ হয়েছে যার মধ্যে ঢাকার ৩ হাজার ৩২০টি এবং ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ১৮১টি। এখান থেকে ৬ হাজার ৭৮২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে যার মধ্যে ঢাকার ৩ হাজার ৭২৪ এবং ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ৫৮টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেয়া হয়েছে ৩৪১ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ৩ হাজার ৪৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫১ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৫৩০ জন।
যারা কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক। তারা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরামর্শ থাকবে, তারা যেন এখনো নিজ ঘরে থাকেন।
১৫ মে শুক্রবার শনাক্ত হয় ১,২০২ ও মারা যায় ১৫ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনে ১০ হাজার নমুনা পরীক্ষার টার্গেট করা হলেও তা এখনও বাস্তবায়ন করা যায় নি।
কর্মকর্তারা বলেছেন, নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে লোকবলের সমস্যার কারণে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেছেন, বাংলাদেশে এই পরীক্ষা শুরুর পর দুই মাসেও এর সংখ্যা বাড়াতে না পারলে সংক্রমণের সঠিক পরিস্থিতি বোঝা যাবে না।
দেশে প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্তের কথা জানানো হয় ৮ মার্চ। তবে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হয় ১৮ মার্চ।◉