বেতন ৩০ হাজার রুপি, অভিযানে মিলল ৭ কোটি
ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা বেতন পান মাসে মাত্র ৩০ হাজার টাকা। এই বেতনে ১০ বছর চাকরি করেই ৫-৭টি বিলাসী গাড়ি ও ২০ হাজার স্কয়ার ফুট জমির মালিক হয়েছেন। তাঁর গির জাতের দুই ডজন গরু ও ৩০ লাখ রুপির টিভিও আছে। ভাবছেন দুর্নীতি ছাড়াই? তা নয়।
মধ্য প্রদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তবে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি ওই কর্মকর্তাকে। ৩৬ বছর বয়সী ওই কর্মকর্তার নাম হেমা মিনা। তিনি মধ্য প্রদেশের পুলিশের হাউজিং করপোরেশনের ইনচার্জ অ্যাসিসট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।
গতকাল বৃহস্পতিবার মিনার বাড়িতে ভারতের দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ বাহিনী এ অভিযান চালায়। সৌর বিদ্যুতের সোলার প্যানেল মেরামতকারীর ছদ্মবেশে লোকাযুক্তের (ভারতের সিভিল কমিশনার) স্পেশাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট (এসপিই) তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে। তাঁরা সেখানে ১০০টি কুকুর, ওয়ারলেস যোগাযোগ ব্যবস্থা, মোবাইল জ্যামারসসহ অসংখ্য মূল্যবান জিনিসপত্র দেখতে পান।
এক দিনের অভিযানে মিনার যেসব সম্পদ সম্পর্কে জানা গেছে তাঁর মূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা, যা তাঁর ১০ বছরের আয়ের ২৩২ শতাংশ বেশি।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, মিনা প্রথমে তাঁর বাবার নামে ২০ হাজার বর্গফুট কৃষিজমি কেনেন। এরপর সেখানে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ শুরু করেন। তাঁর এই বিলাসবহুল বাড়ি ছাড়াও রাইজেন ও ভিদিশা জেলাতেও জমি রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গেছে, মিনা মধ্য প্রদেশ পুলিশ হাউজিং করপোরেশনের বিভিন্ন প্রকল্পের নির্মাণসামগ্রী নিজের বাড়ি বানাতে ব্যবহার করছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর বাড়ি থেকে হারভেস্টারসহ নানা ভারী কৃষিযন্ত্রও জব্দ করা হয়েছে।
ভোপাল লোকাযুক্তের (ভারতের সিভিল কমিশনার) পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট মনু ভাস এনডিটিভিকে বলেন, ‘তিনটি স্থানে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে মিনার বাসভবন বিলখিরিয়াও রয়েছে। তাঁর জব্দ করা সম্পদের মূল্য নির্ধারণে সরকারের অন্য বিভাগ থেকে আমাদের আরও তথ্য নিতে হবে। এ ঘটনায় থানায় মিনার বিরুদ্ধে মামলা দাখিল করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, অভিযান ও হিসাব শেষে মিনার সম্পদের পরিমাণ ৫-৭ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।