ব্রিটিশ ‘জি৪এস’ সোলেইমানি হত্যায় জড়িত
ইরান অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানি শীর্ষস্থানীয় জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহতের ঘটনায় ব্রিটিশ সিকিউরিটি কোম্পানি এবং জার্মানিতে অবস্থিত একটি বিমান ঘাঁটি জড়িত ছিল।
আল-কুদস বাহিনীর কমান্ডার সোলেইমানিকে হত্যার প্রায় এক বছর পর এমন দাবি করেছেন ইরানের এক প্রসিকিউটর।
এমন সময় এ অভিযোগ উঠেছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের উত্তেজনার পারদ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ অভিযোগ করেছেন, বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে ‘হামলার ছুঁতো’ তৈরি খুঁজছেন।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তেহরান প্রসিকিউটর আলি আলকাসিমেহর তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন ছাড়াই দাবি করেন, সোলেইমানি এবং তার সঙ্গে থাকা ইরাকি কমান্ডার মাহদি আল-মুহান্দিসসহ কয়েকজনকে হত্যার ঘটনায় লন্ডনভিত্তিক সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানি জি৪এস ভূমিকা রেখেছিল।
বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওই হামলার ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই এই কোম্পানির এজেন্টরা সন্ত্রাসীদের কাছে সোলেইমানি ও তার যোদ্ধাদের তথ্য বিষয়ে তথ্য পাঠায়।’
বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার পর পরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোলেইমানির গাড়িবহরে হামলা চালায় মার্কিন ড্রোন।
এদিকে ব্রিটিশ কোম্পানিটি নিশ্চিত করেছে যে, তারা ইরাকি সিভিল অ্যাভিয়েশন অথোরিটি কর্তৃক বাইরে থেকে নেওয়া ‘কিছু নিরাপত্তা চাহিদা’ পূরণের দায়িত্বে ছিল। তবে সোলেইমানিকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে কোম্পানিটি।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক লিখিত বক্তব্যে জি৪এসের মুখপাত্র জানান, ‘সাম্প্রতিক সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন গুঞ্জনের জবাবে জি৪এস পরিষ্কার করে বলতে চায়- ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি কাসেম সোলেইমানি ও আবু-মাহদি আল-মুহান্দিসের ওপর হামলার সঙ্গে এই সংস্থার কোনও সম্পৃক্ততা নেই।’❐
আল জাজিরা