ব্রিটেনে আর ফিরতে পারবেন না শামীমা
আইএসএ যোগ দিতে লন্ডন থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম আর যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবেন না।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সর্বোচ্চ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
নাগরিকত্ব বাতিল হওয়ার সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে মোকাবিলায় ব্রিটেনে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই তরুণী।
আইএসে যোগ দিতে মাত্র ১৫ বছর বয়সে স্কুলের দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্য ছেড়ে শামীমা সিরিয়ায় পাড়ি জমান। ছয় বছর পর দেশটির সর্বোচ্চ আদালত তার ফেরা নিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানান।
২১ বছর বয়সী শামীমা এখন উত্তর সিরিয়ায় সশস্ত্র রক্ষীদের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ক্যাম্পে দুর্গত অবস্থায় রয়েছেন। তার স্বামী সিরীয় কারাগারে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে এবং তাদের তিনটি সন্তানই মারা গেছে। তার দাবি, ব্রিটিশ সরকারের বেআইনি সিদ্ধান্তে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন এবং তার মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে।
শামীমা বেগমের আইনজীবীদের যুক্তি, শুনানিতে অবাধে অংশ নিতে না পারলে এ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারীর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবে বহাল হয়ে যাবে।
শামীমা ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে ফিরতে চান। তবে দেশটির সরকার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে। এরপর বিষয়টি আদালতে গড়ায়। পরে গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে রায় দেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত।
রায়ে আদালত বলেছিলেন, ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের ফলে শামীমা বেগম রাষ্ট্রহীন হয়ে যান নি। বংশগতভাবে তিনি ‘বাংলাদেশের নাগরিক’। তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দাবি করতে পারেন।
তবে শামীমা বেগমের বিষয়ে বাংলাদেশের কিছুই করার নেই বলে ইতোমধ্যে জানিয়ে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘শামীমা সে দেশের (যুক্তরাজ্যের) নাগরিক। তিনি কখনো বাংলাদেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন নি। কাজেই তাকে নিয়ে বাংলাদেশের কিছু করার নেই।’❐