বড় ব্যবধানে চট্টগ্রাম হারলো খুলনা টাইগার্সের কাছে
গত সেপ্টেম্বরে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজের সময়ই রহমানুল্লাহ গুরবাজকে মনে ধরে গিয়েছিল খালেদ মাহমুদ সুজনের। ওই মুগ্ধতা থেকেই বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ড্রাফটে তাকে দলে টানেন সুজন। আর প্রথম ম্যাচেই ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি করে বাজিমাত করেছেন আফগান এ তরুণ। এরপর রাইলে রুশো ও মুশফিকুর রহিম দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে খুলনা টাইগার্সকে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় এনে দিয়েছেন। ৩৭ বল হাতে রেখেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ১৪৪ রান টপকে যান তারা।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের ১৪৪ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে হারিয়ে বসে খুলনা; কিন্তু গুরবাজের কারণে সেটা টেরই পাওয়া যায়নি। তৃতীয় ওভারে স্পিনার নাসুমকে চার-ছয় মেরে হাত খোলেন ১৮ বছর বয়সী এ আফগান। এরপর রুবেল, এমরিত, মুক্তারদের ওপর দিয়ে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন তিনি। ১৮ বলে ৫টি ছয় ও ৪টি চারে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন গুরবাজ। অবশ্য মুক্তারের ওই ওভারের প্রথম পাঁচ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে কুড়ি রান তোলার পর শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে আসেন গুরবাজ। তার ঝড়ো ইনিংসটির কারণেই ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ৭৪ রান তুলে নেয় খুলনা। এরপর তৃতীয় উইকেটে মুশফিক ও রুশো অবিচ্ছিন্নভাবে ৭২ রান যোগ করে বাকি কাজ সম্পন্ন করেন। রুশো ৩৮ বলে ৬৪ রানের ইনিংসটির জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন রুশো। মুশফিক ২২ বলে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের সূচনাটাও কিন্তু মন্দ ছিল না। ভারতের বিপক্ষে মুম্বাইয়ে বুধবার রাতে টি২০ সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা নেমে সন্ধ্যায় শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ভালো সূচনাই করেছিলেন লেন্ডল সিমন্স। তিনি এবং আরেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান চ্যাডউইক ওয়ালটন ওপেনিং জুটিতে ৪৬ রান তুলে নিয়েছিলেন। তবে পরপর দুই ওভারেই দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনারের বিদায়ে ছন্দ কেটে যায় চট্টগ্রামের ব্যাটিংয়ের। আগের দিন ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলা ইমরুলও তেমন কিছু করতে পারেননি। ১৪ বলে ১২ রান করে রানআউট হয়েছেন তিনি। এরপর নাসির হোসেন ২৭ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে রানের গতি কমিয়ে ফেলেন। নুরুল হাসান সোহানও ভালো কিছু করতে পারেননি। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ১৭ ওভারে ১০৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম। শেষদিকে মুক্তার আলী ১৪ বলে ৪ ছয়ে ২৯ রান করে দলকে লড়াই করার মতো একটা পুঁজি এনে দিয়েছিলেন; কিন্তু গুরবাজ ও রুশোর ব্যাটিংয়ে সেটা মামুলি পুঁজি হয়ে যায়।