ভারতকে ডব্লিউটিওর নিয়ম মানতে মানতে বাধ্য করতে বাইডেনকে মার্কিন আইনপ্রেণেতাদের চিঠি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে লেখা জনপ্রতিনিধিদের এই চিঠিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন কংগ্রেসম্যান ট্রেসি মান ও রিক ক্রফোর্ড। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম মানে না ভারত। তাই ভারতকে বাণিজ্যনীতি মানার ব্যাপারে দায়বদ্ধ রাখুন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠিতে এমন আর্জি জানালেন ডজনখানেক মার্কিন জনপ্রতিনিধি।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ এবং ছাড়পত্রের বিষয়টি দেখভাল করে। যার সদর কার্যালয় রয়েছে জেনেভায়। সেই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বাণিজ্যের নিয়ম ভারতের বিরুদ্ধে লঙ্ঘন করার অভিযোগ করেছেন ওই জনপ্রতিনিধিরা। তারা জানিয়েছেন, ভারতের বাণিজ্যনীতি লঙ্ঘনের প্রবণতা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষক ও পশুপালকদের।
মার্কিন জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন যে বর্তমানে ডব্লিউটিও আইন অনুযায়ী সরকার পণ্য উৎপাদনের মূল্যের ১০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিতে পারে। কিন্তু, ভারত বর্তমানে চাল এবং গম-সহ বেশ কয়েকটি পণ্যের উৎপাদন মূল্যের অর্ধেকেরও বেশি ভর্তুকি দিয়ে থাকে। চিঠিতে মার্কিন জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেছেন, ভারত এভাবেই নিয়ম মানে না। আর বাইডেন প্রশাসন সেই আইন মানাতে ভারতকে বাধ্য করতে পারেনি।
তার ফলে বিশ্বের কৃষি উৎপাদন ও বাণিজ্য মার খেয়েছে। দাম কমেছে চাল এবং গমের। যার ফলে অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাল ও গম বিক্রেতারা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মার্কিন পশুপালকরাও।
বাইডেনকে লেখা জনপ্রতিনিধিদের এই চিঠিতে কংগ্রেসম্যান ট্রেসি মান ও রিক ক্রফোড লিখেছেন, ‘আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি যাতে ভারতকে ডব্লিউটিওর নীতি মানতে বাধ্য করা হয়। ভারত-সহ অন্যান্য ডব্লিউটিও সদস্যদের অভ্যন্তরীণ সহায়তা কর্মসূচির ওপর নজরদারি চালানো হয়। যাতে ন্যায্য বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত না-হয়। এটা মার্কিন কৃষির ওপর নির্ভর করে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজের ও সারা বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা কতটা সুনিশ্চিত করতে পারছে।’
আর, সেজন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বব্যাপী ডব্লিউটিওর নীতি কার্যকরী করার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে বলে ওই আইনপ্রণেতারা জানিয়েছেন। তাদের দাবি, এভাবেই মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রমবর্দ্ধমান খাদ্য মূল্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ পাওয়া সম্ভব।