ভারতের কর্ণাটকে ব্যানার ছেঁড়া নিয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা
ভারতের কর্ণাটকে হিন্দুত্ববাদী নেতা সাভারকরের ব্যানার ছিঁড়ে টিপু সুলতানের ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষও হয়। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কর্ণাটকের শিবমোগায় এ ঘটনা ঘটে।
সাভারকরের নামের ব্যানার লাগানোর কিছুক্ষণ পর একদল লোক সেই ব্যানার ছিঁড়ে দেয়। তারা টিপু সুলতানের ছবিসহ একটি ব্যানার লাগায়। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়।
বিনায়ক দামোদর সাভারকর স্বাধীনতাপূর্ব ভারতের সংগঠন হিন্দু মহাসভার অন্যতম নেতা। তাকে হিন্দুত্ববাদ আদর্শের অন্যতম প্রধান প্রচারক মনে করা হয়।
পুলিশ গিয়ে পরে টিপু সুলতানের ব্যানারটি খুলে নেয়। শিবমোগার পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, এলাকায় প্রচুরসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য, চারজন যুবক একজনকে ছুরি মারছিল। সেসময় পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। চারজনের মধ্যে একজন তাদের আক্রমণ করেছিল বলে পুলিশ দাবি করেছে। অন্যদের দাবি, সে পালাচ্ছিল। তখন পুলিশ তার পায়ে গুলি করে। চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইতিহাসে স্থানীয় বীর হিসেবে পরিচিত টিপু সুলতানকে নিয়ে হিন্দু জাতীয়তাবাদী আরএসএস-বিজেপি-র আপত্তি আছে। আরএসএস মনে করে, টিপু সুলতান হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করেছেন। এর আগেও কংগ্রেস আমলে কর্ণাটকে টিপু-জয়ন্তী পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তখন হিন্দুত্ববাদী সঙ্ঘ পরিবার প্রবল আন্দোলন করে।
ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে কংগ্রেসের নেতা স্বাধীনতা সংগ্রামী জওহরলাল নেহরুর ছবি বাদ দিয়ে সাভারকরের ছবিসহ বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে কর্ণাটক রাজ্য সরকার। তার তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিরোধী কংগ্রেস। বিজেপি মুখপাত্র জবাবে বলেছেন, ‘নেহরুর জন্য দেশভাগ হয়েছে। তাই নেহরুর ছবি বাদ দেওয়া হয়। ’ প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান শিবকুমার বলেছেন, সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর প্রধানমন্ত্রীর উচিত, রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা।
এনডিটিভি