ভারতে প্রতিদিন গড়ে মারা যাচ্ছে ৮ জন
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৭৬৮। মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৭৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩৬।
সে হিসেবে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৮ জনের মৃত্যু হচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময় জানিয়েছে, ১১ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ভারতে কোভিড ১৯-এ মৃত্যুর হার ৩.২১ শতাংশ। আলাদা করে দেখলে, পাঞ্জাবে মৃত্যুর হার ৮.৩৩ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৭.৫৯ শতাংশ এবং দিল্লির ক্ষেত্রে এই হার ১.৪৪ শতাংশ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনা শনাক্ত করার হার যে রাজ্যে যত বেশি, সেখানে মৃত্যুর হার তত কম। পাঞ্জাবে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৬১ জনের পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে করোনায় মৃত্যুর হার ৮.৩৩ শতাংশ।
মধ্যপ্রদেশে ৭ হাজার ৪৯টি টেস্ট হয়েছে। পজিটিভ ধরা পড়ে ৪৩২। মৃত্যু হয় ৩৩ জনের।
অন্যদিকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দিল্লিতে ১১ হাজার ৬১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। মারা গেছেন ১৪ জন। দিল্লিতে মৃত্যুর হার ১.৪৪ শতাংশ।
করোনায় ভারতের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। সেখানে মৃত্যুহার ৭ শতাংশ।
শনিবার সকাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ৩০ হাজার পরীক্ষা হয়েছে। পজিটিভ ধরা পড়েছে ১ হাজার ৫৭৪। করোনায় দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য তামিলনাড়ুতে ৮ হাজার ৪১০ টেস্ট হয়েছে। করোনার জীবাণু মিলেছে ৯১১ জনের মধ্যে। মারা গেছেন ৮ জন।
উত্তরপ্রদেশে ৯ হাজার ৩৩২ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। ১১ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত পজিটিভ হয়েছে ৪৩১। কেরালায় ১৩ হাজারের বেশি পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশেরও কম।
করোনা আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে অন্য রাজ্যগুলোর তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে ছত্তিশগড়। সেখানে আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
কেরালা ও হিমাচলপ্রদেশে এই হার যথাক্রমে এক-তৃতীয়াংশ ও এক-পঞ্চমাংশ। মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে সুস্থ হয়ে ওঠার হার অত্যন্ত খারাপ। যথাক্রমে ১২ ও ১০ শতাংশ। মধ্যপ্রদেশ, বিহার, আসাম, ঝাড়খণ্ড ও ত্রিপুরায় এখনও একজনের সুস্থ হয়ে ওঠার খবরও মেলে নি।◉