ভারতে হিমবাহ ধসের আগেই সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উত্তরাখণ্ডে হিমবাহের কাছাকাছি স্থানে বাঁধ নির্মাণের ঝুঁকি নিরূপণে ২০১৪ সালে গবেষণা শুরু করেন একদল গবেষক। সে সময় উত্তরাখণ্ডের হিমবাহ ধসের আশঙ্কা জানিয়ে সরকারকে সতর্ক করেন তারা। তবে এই সতর্কবার্তা আমলে নেয় নি ভারত সরকার। ফলে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণের কারণে হিমবাহ ধসে সৃষ্ট হয়েছে বন্যা। প্রাণ হারিয়েছেন চামোলির নিরীহ মানুষ।
অথচ ২০১৪ সালেই এ অঞ্চলে জরিপ করে বাধ নির্মাণের কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা জানান গবেষকরা। সম্প্রতি পিপলস সায়েন্স ইন্সটিটিউটের গবেষক দলের নেতৃত্বে থাকা রবি চোপড়া সম্প্রতি আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন।
রবি চোপড়া বলেন, “হিমবাহের কাছে বাঁধ নির্মাণের ফলে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এর ফলেই হিমালয়ের পাদদেশের বরফ গলতে শুরু করে এবং উত্তরাখণ্ডের হিমবাহে ফাটল দেখা দেয়। যদিও ভূমিধস আর পাহাড়ি ঢলের ব্যাপারে সরকারকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।”
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সেই হিমবাহ বা তুষারখণ্ড ধসে ভেসে গেছে উত্তরাখণ্ডের ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। হিমবাহের একটি বড় অংশ ভেঙে নদীতে পড়ায় অলোকনন্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদীর পানি বেড়ে পার্শ্ববর্তী চামোলি জেলাতে শুরু হয় আকস্মিক বন্যা। বন্যার পানি বাধ ভেঙে গাছপালাসহ বিভিন্ন আবর্জনা নিয়ে প্লাবিত করে উত্তরাখণ্ডের একাংশ।
এ সময় আরও দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও নির্মাণাধীন একটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একই সঙ্গে এসব স্থাপনায় আটকে পড়ে মারা যায় অন্তত ৩১ জন। এ ঘটনায় এখনো প্রায় ১৫৬ জন নিখোঁজ রয়েছে।❐