মন্তব্য করলেই তাতে বিতর্ক তৈরি হবে: সিএএ প্রসঙ্গ এড়িয়ে ট্রাম্প
সরাসরি সিএএ প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ সিএএ নিয়ে কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন না। যেন নরেন্দ্র মোদিকে স্বস্তি দিতেই সিএএ প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতে ধর্মীয় বহুত্ববাদ নিয়েও উচ্ছ্বসিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতে রওনা হওয়ার আগেই চাপ বাড়ায় হোয়াইট হাউস। বার্তা আসে, ভারতে গিয়ে সিএএ নিয়ে নরেন্দ্র মোদির কাছে জানতে চাইবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি এনিয়ে মন্তব্যও করবেন।
দু দিনের ভারত সফরের একেবারে শেষ লগ্নে সিএএ প্রসঙ্গ এল। সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্পকে প্রশ্ন ছুঁড়লেন এক মার্কিন সাংবাদিক।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বললেন, ‘আপনারা বিতর্ক চাইছেন কিন্তু আমি এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না ৷ মন্তব্য করলেই তাতে বিতর্ক তৈরি হবে ৷ আমি মন্তব্য করলে আপনি এই সফর নিয়ে কোনও কথাই বলবেন না শুধু মন্তব্য নিয়েই কথা হবে ৷’
সিএএ নিয়ে প্রশ্ন। অথচ উত্তর দিতে গিয়ে সিএএ-র প্রসঙ্গই তুললেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ধর্মীয় বৈচিত্র্যের কথাই তুলে ধরলেন বারবার। বিল ক্লিন্টন থেকে বারাক ওবামা – প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ভারত সফরেও একই কথা শোনা গিয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘কয়েকটি ব্যক্তিগত হিংসার কথা শুনেছি৷ সেটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়৷ হিংসা নিয়ে মোদির সঙ্গে কথা হয় নি৷ মোদির সঙ্গে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কথা হয়েছে৷ মোদি ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন৷ আমেরিকাও ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী৷ ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে মোদি ভালো কাজ করছেন ৷’
সিএএ নিয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়েও প্রশ্ন। তথ্য-পরিসংখ্যান হাতিয়ার করলেন ট্রাম্প। যেন পালটা প্রশ্ন করলেন, ‘অভিযোগ তো উঠছে, কিন্তু সত্যিই কী তাই ঘটছে?’
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, আগে এখানে ১৪ কোটি মুসলিম ছিল, এখন ২০ কোটি হয়েছে৷ আগে বেশ কয়েকবার কাশ্মিরে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়ে কেন্দ্রকে বিড়ম্বনায় ফেলেছেন। আগেও বলেছিলেন, দু-পক্ষ চাইলে, তবেই মধ্যস্থতা করতে তিনি তৈরি। মঙ্গলবারও সেই একই কথা আবারও বললেন, কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ বিষয়
ট্রাম্পের বক্তব্য, সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হয়েছে, হবে৷ পাকিস্তান সন্ত্রাস রোধে ভালো কাজ করছে ৷ দু দেশ চাইলে কাশ্মির নিয়ে মধ্যস্থতা করব ৷
সিএএ, কাশ্মির ও সংখ্যালঘু সমস্যা- তিনটি ইস্যুর যে কোনও একটিতে ট্রাম্প সরব হলেই অস্বস্তি বাড়ত নরেন্দ্র মোদির। সে পরিস্থিতি যেন সচেতনভাবেই তৈরিই হতে দিলেন না ট্রাম্প। ♦