মার্কিন অর্থমন্ত্রী চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সুসম্পর্ক চান
মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ‘সুস্থ অর্থনৈতিক সম্পর্ক’ বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা এড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে ইয়েলেন জানান, বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাতে রাশিয়াকে সহায়তাকারী চীনা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। খবর আল জাজিরা।
সানফ্রান্সিসকোয় চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হি লিফেংয়ের সঙ্গে দুদিনের বৈঠকের পর ইয়েলেন বলেন, ‘আমরা আমাদের অর্থনীতিকে চীনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাই না। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর হবে এবং বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারির কাছে প্রমাণ রয়েছে যে চীনা ফার্ম ও ব্যাংকগুলো রাশিয়ায় সরঞ্জাম সরবরাহে সহায়তা”করেছে। তাদের যথাযথ পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
ইয়েলেন চীন সরকারের বিরুদ্ধে এ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ করেননি। তবে তিনি উদ্বিগ্ন যে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জামগুলো নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়ার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। উপপ্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ইয়েলেন আগামী বছর চীন ভ্রমণের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেন এবং অর্থনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের”ওপর গুরুত্ব দেন।
সানফ্রান্সিসকোয় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন সামিটে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে আসন্ন বৈঠকের আগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তিনি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে ও বেইজিংকে শাস্তি দেয়ার জন্য চীনা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। বাইডেনের শাসনামলে সম্পর্কের টানাপড়েন অব্যাহত রয়েছে, যিনি মার্কিন উৎপাদন পুনরুদ্ধার ও চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তার পূর্বসূরির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
বাইডেন সরকার সাম্প্রতিক মাসগুলোয় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সফর ও কূটনীতির মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নিচ্ছেন। গত জানুয়ারিতে ইয়েলেন সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী
লিউ হির সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন এবং জুলাইয়ে তিনি অর্থনৈতিক নীতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করতে চীন সফর করেন।