মায়ানমারের সেনাবাহিনী এক মাসের অস্ত্রবিরতিতে
মায়ানমারের সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার এক মাসের অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছে।
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটি।
জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সেনাবাহিনী একতরফাভাবে এক মাসের অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছে।
দেশের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন তৎপরতার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ এই অস্ত্রবিরতির বাইরে থাকবে।
এদিকে কাচিন রাজ্যে একটি পুলিশ স্টেশন দখল করে নিয়েছে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেস আর্মি (কেআইএ)। অভ্যুত্থানবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী এই কাচিন বিদ্রোহীরা।
কেআইএর একজন মুখপাত্র বলেন, কেউকি জেলায় মধ্যরাতের এক অভিযানে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ একটি থানা নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীরও মাঝে মাঝে এই থানাটি ব্যবহার করত।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি কাচিন বিদ্রোহীরা। এদিকে অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের রক্ষার ঘোষণা দিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী কেআইএ ও কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন।
২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর সঙ্গে অস্ত্রবিরতির চুক্তি করেছে আরাকান আর্মি, টাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ও মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি।
তবে বিক্ষোভকারীদের প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতা বন্ধ না হলে তারা সেই চুক্তি লঙ্ঘনের হুশিয়ারি দিয়েছে।❐