মিতু হত্যা: তদন্তের সবশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে
সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় করা মামলার তদন্তের সবশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে।
রবিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন।
এ মামলায় এক আসামির জামিন শুনানিকালে গত বছরের ২ ডিসেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আদেশে রবিবারের মধ্যে মামলার তদন্তের সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানাতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় আলোচিত এ মামলার প্রতিবেদন দাখিল হলো।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি এর ওপর শুনানি হবে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। এ ঘটনায় তার স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সন্দেহভাজন হিসেবে সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আটক হন এহেতশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনির। গ্রেপ্তার আনোয়ার ও মোতালেব মিতু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে এ হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মুছার নাম আসে।
মিতুর বাবা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশারফ হোসেন এ হত্যায় বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলেন। ২০১৭ সালের ২৪ জুন রাতে বাবুল আক্তারকে ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরবাড়ি থেকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।❐