মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে ভারতের শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ
ভারতের শীর্ষ আদালত আজ বুধবার জানিয়েছেন, গত মাসে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে বেশ কয়েকজন জাফরান-পোশাক পরিহিত হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের বিচারের জন্য আবেদন গ্রহণ করবেন।
সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি বলেছেন, তারা উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকারকে একটি নোটিশ জারি করছেন যে, তারা আগামী সপ্তাহে মামলাটি তদন্ত করবেন।
পুলিশের কাছে করা এক অভিযোগ অনুসারে, ডিসেম্বরে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডের পবিত্র শহর হরিদ্বারে বৈঠকের সময় ধর্মীয় নেতারা হিন্দুদেরকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে “গণহত্যার” জন্য সশস্ত্র করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে, তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
উত্তরাখণ্ড রাজ্যটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি শাসন করে।২০১৪ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর এবং ২০১৯ সালে পুনর্নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পাবার পর মুসলমান ও অন্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারতের ১৪০ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশ মুসলমান।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারক অঞ্জনা প্রকাশের দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছে, হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতাগুলো ‘শুধু আমাদের দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার জন্যই মারাত্মক হুমকি নয়, লাখ লাখ মুসলমান নাগরিকের জীবনকেও বিপন্ন করে।” বার, বেঞ্চ এবং ভারতীয় আইনি খবরের অনলাইন পোর্টাল এ খবর জানিয়।
গত মাসে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা মোহনদাস গান্ধীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তৃতা এবং তার হত্যাকারীর প্রশংসা করার অভিযোগে ভারতীয় পুলিশ একজন হিন্দু ধর্মীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।