মৃত্যুর সংখ্যায় সার্স ভাইরাসকে ছাড়িয়ে গেল করোনাভাইরাস
আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম বা সার্স ভাইরাসকে ছাড়িয়ে গেল করোনাভাইরাস।
২০০২-’০৩ সালে সার্সভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হয়েছিল ৭৭৪ জনের।
সেখানে করোনাভাইরাসের মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র তিন মাসেরও কম সময়ে কেবল চীনেই ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ২০০ জোন মানুষ।
আতঙ্কে পরিণত হওয়া এই করোনাভাইরাস খুব দ্রুতগতিতে মহামারীর রূপ নিচ্ছে। খুব দ্রুত বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা।
চীনে শুক্রবার ৮৬ জনের বেশি মারা গেছেন। যেটি ছিল একদিনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা। সব মিলিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২৪ জনে পৌঁছায়। আক্রান্ত হন ৩৫ হাজারের বেশি।
এ পরিসংখ্যান দিতে না দিতেই একদিন পর সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৮১৩-তে। অর্থাৎ একদিনে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হলো ৮৯ জন।
রোববার সকালে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এ তথ্য দিয়েছে।
সে হিসাবে শুক্রবারের রেকর্ডকে ছাপিয়ে একদিনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা এটিই।
দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলছে, করোনাভাইরাসে চীনের মূল ভূখণ্ডেই এ পর্যন্ত ৮১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া হংকং ও ফিলিপাইনে মারা গেছে আরও দুজন।
সেই হিসাবে উৎপত্তির ছয় সপ্তাহ পর ২০০২-০৩ সালের আতঙ্ক সার্সকে (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) অতিক্রম করল করোনাভাইরাস।
সার্স সেই সময় বিশ্বের ২৪ দেশে ছড়িয়ে পড়লেও এতে মৃত্যু হয়েছিল সব মিলিয়ে ৭৭৪ জন।
প্রসঙ্গত গত ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুশিয়ারের পর নতুন করোনাভাইরাস শনাক্ত করে চীন। বিজ্ঞানীরা প্রথম থেকেই ধারণা করে আসছেন যে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটির হুবেইপ্রদেশের উহান শহরের একটি সি ফুড মার্কেট থেকে ওই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
সি ফুডের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীও ওই মার্কেটে বিক্রি হতো, যা পরে বন্ধ করে দেয় চীন কর্তৃপক্ষ। গোড়ার দিকে সাপ, বাদুড় ও ভোঁদড়ের দিকে ইঙ্গিত ছিল অনেকের।
এখন সেসব প্রাণীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বনরুইয়ের নাম।
তবে বিজ্ঞানীদের আরেকটি অংশের বক্তব্য– করোনাভাইরাস সাপকে পোষক হিসেবে ব্যবহার করে, এমন কোনও প্রমাণ কখনও মেলে নি।