মেয়রের আতিকের ৩ দিনের মধ্যে ঢাকা উত্তরের পোস্টার সরানোর ঘোষণা
আগামী ৩ দিনের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকা থেকে পোস্টার সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের কর্মী মাঠে নামিয়ে দেব। এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে ডিএনসিসি পোস্টার মুক্ত করা হবে। কাল-পরশুর মধ্যে পোস্টার নামানো হবে।
রোববার বিকালে বনানীর অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিটি নির্বাচনের ফলাফল পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
আতিক আরও বলেন, পলিথিনে মোড়ানো পোস্টারগুলো রিসাইক্লিং করা হবে। যারা পোস্টার পোড়াচ্ছেন তাদের প্রতি অনুরোধ- কেউ এগুলো পোড়াবেন না। আমরা এগুলো রিসাইক্লিং করব।
ঢাকা উত্তরের নবনির্বাচিত এ মেয়র বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সেগুলো মোকাবেলা করব। গত ৯ মাস কঠোর অনুশীলন করেছি। নগরবাসীর কাছে একটি সুযোগ চেয়েছিলাম। তারা আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছেন।
নিজের পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন খাতে বিশেষজ্ঞ যারা আছেন, তাদের নিয়ে নগরীর সমস্যা দূর করব। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সমস্যার সমাধান করব। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে চাই। এছাড়াও নতুন ১৮টি ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে দলের সমন্বয়ক তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচনে হারের পর হরতালে জনগণের সমর্থন পায়নি বিএনপি। এটা তাদের জন্য ‘ডাবল’ পরাজয়। এ হরতালের সিদ্ধান্ত তাদের জন্য রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত।
বিএনপির সমালোচনা করে তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, তাদের নির্বাচনে জেতার উদ্দেশ্য ছিল না। তাদের নেতাই বলেছে- এটা তাদের আন্দোলনের অংশ। তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল। তবে সেখানেও ব্যর্থ হয়েছে। কেউ এ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। অন্যদিকে আমরা নির্বাচন করেছি জয়ের জন্যই। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যেও ব্যাপক ইউনিটি ছিল।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হারানোর কিছু নেই। তিনি জনগণের জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন। সিটি কর্পোরেশনে কি সমস্যা, নগরবাসীর কি সমস্যা- আর সেগুলো সমাধানে মেয়ররা কিভাবে কাজ করবেন, তা তিনি জানেন। তিনি তার জায়গা থেকে সব ধরনের সহায়তা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, বর্তমান সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলাম, ফারুক খান পাঠান প্রমুখ।