ম্যাচ ফিক্সিং থেকে কয়েক মাইল দূরে ভারতের খেলোয়াড়রা
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) দুর্নীতি দমন শাখার নতুন প্রধান সাবির হুসেন শেখাদাম খান্ডওয়াওয়ালা বলেছেন, আমাদের দেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের এত ভালো বেতন দেওয়া হয় যে, তারা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঝামেলা থেকে কয়েক মাইল দূরে। আমাদের এ নিয়ে গর্ব করা উচিত। সবচেয়ে বড় কাজ হলো ছোট প্রতিযোগিতা এবং লিগ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা। সন্দেহজনক কার্যকলাপ চিহ্নিতকরণ ছাড়াও এটি প্রতিরোধ করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, জুয়াকে সরকারের বৈধতা দেওয়া উচিত কিনা তা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়, তবে একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, জুয়া বৈধ হলেও ম্যাচ গড়াপেটা হবে। সরকার এখনও পর্যন্ত জুয়াকে বৈধতা দেয়নি।
পুলিশের এই সাবেক কর্মকর্তা আরও বলেন, কয়েকটি দেশে জুয়াকে বৈধতা দেওয়া হলেও যারা ম্যাচ খেলা দেখতে মাঠে যান বা টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখেন, তারা খেলায় কখনও এসব দেখতে চান না। আমাদের কাজ হবে তাদের বিশ্বাস বাঁচানো এবং খেলাকে সব ধরনের দুর্নীতি থেকে মুক্ত করা।
২০০০ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হন ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। ২০১৩ সালের আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে নিষিদ্ধ হন ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি আর ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় তারকা পেসার শ্রীশান্ত।❐