যুক্তরাজ্যের ‘রেড-লিস্টে’ যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইংল্যান্ডে আসা যাত্রীরা কোয়ারেন্টিন বিধি থেকে রেহাই পাবেন না। মহামারী রোধে যুক্তরাজ্যের রেড-লিস্ট দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও আছে।
ব্রিটেনের পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস শুক্রবার এমন দাবি করেছেন।
১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার নিয়ম যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার আশঙ্কা যে তারা এই রেড-লিস্টে থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টিন বিধি মেনে চলতে হবে।
বিবিসিকে শ্যাপস বলেন, করোনাভাইরাস বিস্তারের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই ইউরোপ ও ব্রিটেন থেকে ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কাজেই এখানে পাল্টা কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় নেই।
যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার নতুন করে ৫৫ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বলা হচ্ছে, মহামারীর প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টায় এটিই সবচেয়ে বেশী সংখ্যক কোভিড-১৯ পজিটিভ। গেল সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়েছে।
এতে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে। এছাড়া কঠোর লকডাউনের পর বেশ কয়েকজন গভর্নর তাদের অর্থনীতিকে সচল করার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ২৭৪ জনে। এর আগে গত ১৯ জুন ব্রাজিলে ৫৪ হাজার ৭৭১ জনের আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড ছিল।
সপ্তাহ দুয়েক আগে যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে ২২ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। আর গত সাত দিন পর পর ৪০ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত জুনের শুরুর তুলনায় ১৪ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ৩৭টিতে নতুন সংক্রমণ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার এ যাবতকালে সব রাজ্যের মধ্যে ফ্লোরিডায় সবচেয়ে বেশী লোক আক্রান্ত হয়েছেন।
২ কোটি ১০ লক্ষ লোকের রাজ্যটিতে এদিন নতুন করে ১০ হাজার লোক সংক্রমিত হন, যা মহামারীর সর্বোচ্চ সংক্রমণের দিক থেকে যে কোনও ইউরোপীয় দেশের তুলনায় বেশী।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রমণবিষয়ক শীর্ষ বিজ্ঞানী ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলেন, করোনা রোধে দেশজুড়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আক্রান্তের সংখ্যা দিনে এক লক্ষে পৌঁছুতে পারে। ⛘