যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে, মৃতে ১৯
হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিশনার ড. স্টিফেন হ্যান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। আর এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৯।
ড. স্টিফেন হ্যান জানান, করোনা ভাইরাস শনাক্তে তার প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচ হাজার ৮৬১টি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। তবে সিএনএন জানিয়েছে, প্রকৃতপক্ষে ড. স্টিফেন হ্যান-এর মন্তব্যের অর্থ এটা নয় যে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে পাঁচ হাজার ৮৬১ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে।
কেননা, বর্তমানে এ ভাইরাস শনাক্তে প্রতিটি ব্যক্তিকে দুই দফায় পরীক্ষা করা হয়। এর একটি করা হয় নাকে এবং অন্যটি গলায়। তাছাড়া ব্যক্তিগতভাবে কিংবা বাণিজ্যিক ল্যাবে যারা পরীক্ষা করিয়েছেন তাদেরও এ হিসাবে ধরা হয়
নি।
সারাদেশে এ পর্যন্ত ঠিক কতজনকে পরীক্ষা করা হয়েছে সে সম্পর্কে তথ্য দিতেও অপারগতার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের প্রায় অর্ধেকেই এ ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে। নিউ ইয়র্কে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭৬ জনে দাঁড়ানোর পর সেখানে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো।
তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিউ ইয়র্ক ছাড়াও ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, মেরিল্যান্ড, উতাহ এবং ওয়াশিংটনেও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
এছাড়া সাউথ ক্যারোলাইনা, হাওয়াই, ওকলাহোমা, নেব্রাস্কা, মিনেসোটা ও পেনসিলভানিয়ার মতো রাজ্যগুলোতেও এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। একপর্যায়ে এ ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ইতোমধ্যেই দুনিয়াজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। এর বেশিরভাগই চীনা নাগরিক।
সিএনএন, সিএনবিসি