যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে ১ দিনে ১,৮৫৮ জনের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মঙ্গলবারই ১ হাজার ৮৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিউ ইয়র্কে। এদিন সেখানেও একদিনে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ৮০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার পর্যন্ত নিউ ইয়র্কের কারাগার থাকা ২৮৬ বন্দি ও ৩৩১ কারা কর্মকর্তা ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মাইকেল টাইসন (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিউ ইয়র্ক কর্তৃপক্ষ সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
গভর্নর অ্যান্ড্রু কৌমো জানান, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারির কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে নিউ ইয়র্ক।
নিউ ইয়র্কে টানা দুদিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে মঙ্গলবার আবারও তৈরি হলো সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
তবে গভর্নর জানিয়েছেন, টানা তিন দিনের গড় আক্রান্তের সংখ্যা কমছে।
জনগণকে ঘরে থাকা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সতর্ক করে গভর্নর বলেন, আমাদের দৃঢ়ভাবে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। এর ওপরই নিজেদের বেঁচে থাকা নির্ভর করছে।
ধর্মীয় উৎসবে নিউ ইয়র্কবাসীকে বড় ধরনের জমায়েত এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গভর্নর অ্যান্ড্রু কৌমো বলেন, ‘আপনাদের চৌকষ হতে হবে। নিরাপদে থাকতে হবে। আমাদেরকে ঘরে থেকেই এটা করতে হবে।’
এদিকে করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের ফলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মাস্কের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে।
মাস্ক না পেলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরামর্শ দিয়েছেন, ‘কাপড়ের ঘনত্বের বিচারে স্কার্ফ মাস্কের ভালো বিকল্প।’
বস্তুত ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে মাস্ক বা এ সংক্রান্ত সরঞ্জামের পর্যাপ্ত মজুদ নেই। যা ছিল তাও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, বিভিন্ন রাজ্যগুলো প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের জন্য বাজারে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে বাধ্য হয়েছিল।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে এ মহামারির কেন্দ্রস্থল নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল ডে ব্লাসিওর ভাষায়, ‘আপনি বলতে পারেন না যে প্রতিটি রাজ্য নিজেদের জন্য, প্রতিটি শহর নিজেদের জন্য। এটা আমেরিকার চিত্র হতে পারে না।’◉
সিএনএন