যুক্তরাষ্ট্রে প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর না দিয়ে ট্রাম্প দিচ্ছে ম্যালেরিয়ার ওষুধ
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস আক্রান্তের চিকিৎসায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আরও ভেন্টিলেটর ও অতিপ্রয়োজনীয় জীবনরক্ষাকারী মেডিকেল সরঞ্জাম দাবি করেছে রাজ্যগুলো। কিন্তু সংকটের কথা বলে এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করছে না প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার। এসবের বদলে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্লোরোকুইন পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও হাইড্রোক্লোরোকুইন চেয়েছেন ট্রাম্প। তবে নিজেদের দেশে মহামারীর মধ্যে প্রয়োজনীয় ওষুধটি রফতানি করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি।
করোনা নিয়ে শনিবার হোয়াইট হাউসে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভেন্টিলেটর চাচ্ছে রাজ্য সরকারগুলো। কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, করোনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আরও খারাপ দিন আসছে। সেই আশঙ্কা এখন প্রতিনিয়ত সত্যে পরিণত হচ্ছে। নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, মিশিগান ও লুইজিয়ানায় প্রাণহানি বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে আরও খারাপ খবর দিলেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, করোনার সবচেয়ে কঠিন সপ্তাহে প্রবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করোনার ঝুঁকিকে খাটো করে দেখা ও ভালোভাবে প্রস্তুতি না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে এদিনও আশার বাণী শুনিয়েছেন তিনি। তবে হুশিয়ারিও জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত করোনা সংক্রমণের ফলে আরও অনেক মানুষের মৃত্যু হবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহ এবং আগামী সপ্তাহে সম্ভবত সবচেয়ে কঠিন সময় হতে চলেছে।’
পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা করোনাকবলিত রাজ্যগুলোতে বিপুলমাত্রায় সামরিক সহায়তা দিতে কাজ করছি। হাজার হাজার সেনা, চিকিৎসক, নার্স যুক্ত করার কাজ চলছে। শিগগিরই নিউইয়র্ক রাজ্যে করোনায় জর্জরিত অন্যান্য রাজ্যেও বিপুল সেনা ও চিকিৎসককে যুক্ত করা হবে।’
ভেন্টিলেটর বা চিকিৎসা সরঞ্জাম নয়, করোনার চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্লোরোকুইনকেই এখন বড় ভরসা হিসেবে দেখছেন ট্রাম্প। তিনি নিজেও এই ওষুধ নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমিও এটা নিতে পারি। আমি আমার ডাক্তারকে আমাকে এটা দিতে বলব।’
ওষুধটি ভারত থেকে আমদানি করতে চান তিনি। এ ব্যাপারে এরই মধ্যে দিল্লির সঙ্গে পেন্টাগনের কথা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।◉