যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফল না দেখে করোনা টিকা নেবেন না
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া শুরু হলেও টিকা গ্রহণে এখনও মানসিকভাবে প্রস্তুত নন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
টিকা নেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয় নিয়ে অনেকের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সোমবার থেকে মার্কিন জনগণ ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন নিতে শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বাংলাদেশি প্রবাসীরা বলেন, ‘আগে দেখব, টিকা পরে নেব’।
ইতোমধ্যে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যেই প্রথম দফায় ৩০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে। মাইনাস ৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয় বলে ড্রাই আইসে মুড়িয়ে ট্রাক ও বিমানে করে স্থানীয় সময় ১৩ ডিসেম্বর রোববার ভোর থেকে ১৪৫টি কেন্দ্রে করোনার এই টিকা পাঠানো হয়।
মঙ্গল ও বুধবার আরও ৪৯১টি কেন্দ্রে ফাইজারের এ করোনার টিকা পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিতরণ তদারকি কর্মকর্তা জেনারেল গুসটেভ পেরনা।
তিনি আরও জানান, প্রথম দফায় ৩০ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে ১০ কোটি মার্কিনিকে এ টিকার আওতায় আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়া গেলেও তা নিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ শতাংশ মানুষ! পিআর ফার্ম বোসপারের জরিপ বলছে, দেশটির এক-তৃতীয়াংশ প্রাপ্ত বয়স্ক জানিয়েছেন, ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের প্রতি তাদের আস্থা নেই।
জরিপের পেছনে নিজেদের উদ্দেশের কথা জানাতে গিয়ে বোসপারের প্রধান কর্মকর্তা কার্টিস স্পারার গণপমাধ্যমকে বলেন, লকডাউনের বিরুদ্ধে দেখছি অনেকে আন্দোলন করছেন। মানুষ আসলে কী ভাবছে, সেটি জানতে আমরা এমন জরিপ চালাই। সামগ্রিক চিত্র নিয়ে আমি হতাশ। বাজি ধরে বলতে পারি আরও অনেক মানুষ ভ্যাকসিন নেবে না।
জরিপটি হয়েছে এপ্রিলের শেষ দিকে, ২৮ এবং ২৯ তারিখ। বাজার জরিপকারী সংস্থা প্রোপেলার বোসপারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে। তারা ১ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন।❐