যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভায় মির্জা ফখরুলের পদত্যাগের দাবী
বিএনপির চেয়ারপার্সন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দীর ২ বছর পূর্তিতে ক্ষোভ এবং তার মুক্তি দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের পদত্যাগের দাবী এবং সিনিয়রদের ডিঙ্গিয়ে জুনিয়রকে আগে মঞ্চে বসানোর ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে সভার সভাপতি অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরীকে মাইক নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতি শান্ত করতে হয়। এমনকি সভার প্রধান অতিথি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সম্রাটকে হস্তক্ষেপ করতে হয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দূর করতে।
এরপর দুই উপস্থাপকের একজনকে সরিয়ে দেওয়ার পর কিছুটা শান্ত হয় গোটা পরিস্থিতির।
হৈ চৈ-হট্টগোল আর বাক-বিতন্ডার মধ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয় ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে।
নিউ ইয়র্কের এনআরবি নিউজ জানিয়েছে, সভার শুরুতে বক্তব্য দিতে এসে ছাত্রদলের সাবেক নেতা মীর মিজান ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযোগ করেন যে, খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে যে ধরনের আন্দোলন করা উচিত তা করতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাই তার উচিত স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের পথ সুগম করা।
মীর মিজানের এ বক্তব্যে মঞ্চে উপবিষ্ট নেতৃবৃন্দ ছাড়াও দর্শকের মধ্যেও অনেকে বিব্রতবোধ করেন।
এক পর্যায়ে সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী তার কাছে থেকে মাইক নিয়ে বলেন যে, মীর মিজানের ওই বক্তব্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের এই সভার কোনই সম্পর্ক নেই। কারণ, মীর্জা ফখরুল হচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব এবং তার দক্ষ নেতৃত্বেই ম্যাডামের কারামুক্তি ঘটবে। বিএনপির চরম দুর্দিনে মির্জা ফখরুল কান্ডারির ভূমিকা পালন করছেন।