রাজনৈতিক বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
রাজনৈতিক বক্তব্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনু বিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেনের বৈঠকের আগে জাতীয় সংসদে যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য এবং মার্কিন মানবাধিকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুক পোস্টের কারণে দুদেশের সম্পর্কে প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে জবাবে মুখপাত্র বলেন, এতে মনে হয় না দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে। ওয়াশিংটনে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।
কলকাতার মার্কিন উপ-দূতাবাসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য দেশে বিদেশি দূতাবাসে কী হচ্ছে তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোনো তথ্য নেই বলেও জানান তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র জানান, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও জিএসপি পুনর্বহাল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। সেহেলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২৫-২৮ এপ্রিল জাপান সফরে ৮ থেকে ১০টি সহযোগিতা চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
১২-১৩ মে ঢাকায় ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স : সেহেলী সাবরীন লিখিত বক্তব্যে জানান, ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আগামী ১২-১৩ মে ঢাকায় দুই দিনব্যাপী ষষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স হবে। এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব এবং পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশে সম্মেলনটি আয়োজন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এ সম্মেলন মূলত ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশসমূহকে নিয়ে আয়োজন করা হলেও এতে পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে।