রুশ যুদ্ধবিমানের চালান বুঝে পেল মিয়ানমার
রাশিয়ার তৈরি কিছু যুদ্ধবিমানের চালান নেওয়া শুরু করেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এটা মস্কো থেকে মিয়ানমারে যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহের সাম্প্রতিকতম ঘটনা। মিয়ানমারের অধিকারকর্মীদের তরফ থেকে জান্তার বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে বেসামরিক লোকজন হত্যা করার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে গতকাল শুক্রবার একটি পর্যবেক্ষকগোষ্ঠী এ তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে অং সান সু চির বেসামরিক সরকারের অধীনে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার কাছ থেকে ছয়টি সুখই সু-৩০এস কিনেছিল।
বিজ্ঞাপন
মিয়ানমার উইটনেস নামের একটি পর্যবেক্ষকগোষ্ঠী জানায়, স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য, ফ্লাইট পর্যবেক্ষণকারীদের প্রতিবেদন এবং একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র ‘সন্দেহাতীতভাবে নিশ্চিত করেছে’ দেশটির সামরিক বাহিনীর গড়ে তোলা রাজধানী নেপিডোতে কমপক্ষে একটি যুদ্ধবিমান পৌঁছেছে।
তবে যুদ্ধবিমানটি প্রশিক্ষণে ছিল, নাকি সক্রিয় মিশনে আকাশে উড়ছিল—এ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
এর আগে স্থানীয় গণমাধ্যম প্রতিবেদনে জানায়, রাশিয়ার প্রশিক্ষক, প্রযুক্তিবিদসহ চার থেকে ছয়টি বহুমাত্রিক দুই আসনের যুদ্ধবিমান মিয়ানমারে এসে পৌঁছেছে।
যুদ্ধবিমান আদৌ কেনার বিষয়ে বা এর মধ্যে কয়টি যুদ্ধবিমান মিয়ানমারে পৌঁছেছে তা নিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি।
গত অক্টোবর মাসে প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাময়িকী জেন্স ডিফেন্স উইকলি লিখেছিল—তারা উত্তরের সাগাইং অঞ্চলে রাশিয়ার তৈরি আক্রমণে ব্যবহূত পরিবহন হেলিকপ্টার কামভ কেএ-২৯টিবি ওড়ার ছবি দেখেছে।
রাশিয়া মিয়ানমারের জান্তার অস্ত্রের প্রধান সরবরাহকারী ও সমর্থনকারী। ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণকে ‘ন্যায়সংগত’ বলে আখ্যায়িত করেছে এই জান্তা।
গত বছর ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারের জান্তা গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারী ও বিদ্রোহীদের দমন করতে বেগ পাচ্ছে।
বিদ্রোহীরা জানায়, গত মাসেই উত্তরে একটি প্রধান জাতিগত বিদ্রোহীগোষ্ঠীর আয়োজিত এক কনসার্টে বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিকসহ প্রায় ৫০ জন নিহত হয়। তবে নিহতদের মধ্যে বেসামরিক লোক ছিল এমন খবরকে ‘গুজব’ আখ্যা দিয়েছে জান্তা।
এএফপি